নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি ॥ পুলিশী নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যার চার্জশিট আদালতে গৃহিত

8

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশী নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিলের প্রায় ৫ মাস পর গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল মোমেন এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামি কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। সিলেট মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগপত্র গ্রহণকালে প্রধান অভিযুক্ত বহিষ্কৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ সকল আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ মে আলোচিত এই মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
অভিযুক্তরা হচ্ছে, প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান। এদের মধ্যে ৫ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে এসআই মো. আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও এএসআই আশেক এলাহী। আলামত গোপনের অভিযোগে আসামি এসআই মো. হাসান উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২০১ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোরে নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করেন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পুলিশ সদস্যরা। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে চলে নানা কর্মসূচি। রায়হান হত্যার পরদিন ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দাখিলকৃত এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) প্রায় ৫ মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে গৃহিত হলো।