কাজিরবাজার ডেস্ক :
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ৫০ জনের বেশি নারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য ত্রাণ সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। এসব অভিযোগ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বুধবার তদন্ত কমিশন ৩৫ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে ৮৩ জনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে ২১ জন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মী।
২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে অভিযোগ ওঠে, কঙ্গোর নারীদের প্রচুর মদ খাওয়ানো হয়। তারপর হাসপাতালে তাদের ওপর জোর করে যৌন মিলনে বাধ্য করা হয়। এতে দুজন নারী অন্তঃস্বত্তাও হয়ে পড়ে়ন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ড. টেড্রোস বলেন, এই তদন্ত রিপোর্ট পড়ে গা শিউরে ওঠে। তিনি নির্যাতিতাদের উদ্দেশ্যে সরাসরি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ডব্লিউএইচও-তে কর্মরত ব্যক্তিরা আপনাদের সাথে যে আচরণ করেছেন তার জন্য আমি দুঃখিত। সংস্থা তাদের নিয়োগ করেছিল আপনাদের সেবার জন্য এবং আপনাদের সুরক্ষা দেবার জন্য। অপরাধীরা যাতে পার না পেয়ে যায় সেটাকে অগ্রাধিকার দেওয়া আমার দায়িত্ব। তাদের জবাবদিহিতা করতে হবে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাঠামো এবং সংস্কৃতি ঢেলে সাজানোরও অঙ্গীকার করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক মাতশিদিসো মোয়েতিও সংস্থার কর্মীদের হাতে নিগৃহীতদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তদন্তে যা প্রকাশ পেয়েছে তাতে তিনি ‘স্তম্ভিত বিচলিত এবং মর্মাহত।
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ২০১৮ সালে ইবোলা ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণ হারায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। ইবোলার বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছর জুন মাসে ইবোলা মহামারির অবসান ঘোষণা করে সংস্থাটি।