ছাত্রলীগ যত শক্তিশালী ও সক্রিয় হবে শেখ হাসিনার হাতও তত শক্তিশালী হবে – পরিকল্পনামন্ত্রী

12
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান।

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তরুণ ছাত্র-যুবকদের খুব ভালোবাসেন। ছাত্রলীগ তাঁর প্রাণের সংগঠন। তিনি জানেন, আওয়ামী লীগের সবগুলো শক্তির মধ্যে ছাত্রলীগ অন্যতম। তিনি চান যেসব তরুণরা ছাত্রলীগ করবে তাদের মধ্যে দেশের প্রতি একটি কমিটমেন্ট থাকবে যেমনটা ছিলো বঙ্গবন্ধুর। আমি নিজেও তরুণদের দ্বারা প্রভাবিত হই। বিশেষ করে ছাত্রদের আমি ভীষণ পছন্দ করি। ছাত্রলীগ সঠিকভাবে এগিয়ে যাক আমি সেই কামনা করি। পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ একটি সুশৃঙ্খল ইউনিট। আমি তাদের সফলতা কামনা করি। ছাত্রলীগ যত শক্তিশালী ও সক্রিয় হবে শেখ হাসিনার হাতও তত শক্তিশালী হবে। ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গ্রামকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। তিনি গ্রামের উন্নয়নে বেশি আগ্রহী। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার অসহায়, দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কথা ভেবেই গ্রামে বেশি করে উন্নয়ন করে থাকে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল শেখ হাসিনা এবং আমাদের সরকারের এসব কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সব সময় প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। দয়া করে আপনারা এসব কথায় কান দিবেন না। সুনামগঞ্জের উন্নয়ন নিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, সুনামগঞ্জে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এসব উন্নয়নের পেছনের একমাত্র উৎস হচ্ছেন শেখ হাসিনা। এসব আপনাদের উন্নয়ন। আমি আপনাদের পছন্দের একজন সেবক মাত্র। আপনারা যেসব দাবি করবেন, আপনাদের হয়ে শেখ হাসিনার কাছে সে দাবিটুকু আমি পৌঁছে দেই মাত্র। কিন্তু ইদানিং একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে এসব মহাকর্মযজ্ঞে কিছুটা ভাটা পরেছে। কিন্তু থেমে যাবে না। সুনামগঞ্জে আরো উন্নয়ন হবে। রেল আসবে। হাওরে উড়াল সেতু হবে। একসময় হাওরের উপর দিয়ে আমরা গাড়িতে করে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ-ঢাকা যাবো। উন্নয়নের ব্যপারে আপনারা গ্রষ্টার পর শেখ হাসিনার উপর ভরসা রাখুন।
সুনামগঞ্জের নবগঠিত শান্তিগঞ্জ উপজেলাকে পৌরসভায় উন্নীত করার ঘোষণা দিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান বলেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলাকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হবে। শীঘ্রই শান্তিগঞ্জ পৌরসভার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। পাগলার মহাসিং নদী ও গনিগঞ্জে ব্রীজ নির্মাণ হবে। প্রয়োজনীয় সব উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মন্ত্রী আরোও বলেন, বাঙালি স্বাধীন জাতি। বাঙালিকে কেউ আর দমিয়ে রাখতে পারবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সারাবিশ্ব এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করে। আমরা এখন আর কারো কাছে মাথানত করব না। দেশের উন্নয়নে যা দরকার সব হবে। তিনি আরোও বলেন, মন্ত্রীত্বের লোভ আমার নেই। আমার একমাত্র উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের সেবা করা। যতদিন বেঁচে আছি মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। আমি আর কিছু চাই না। সুনামগঞ্জের হাওরে উড়াল সেতু হবে, সুনামগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত রেললাইন হবে। সুনামগঞ্জবাসীর উপকার হয় এমন সব কাজ হবে। ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তোমরা আদর্শ ঠিক রেখে চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ চালিয়ে যাবে। আমি সবসময়ই তোমাদের পাশে আছি। তোমরা যারা ছাত্রলীগ করো তারা আমার পরিবারের সদস্য। নিজেরা সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ থাকবে। যারা দেশের শত্রু তাদের প্রতিহত করতে হবে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রয়েল আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মনসুর আলম সুজন, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজাদ হোসেন সহ আরোও অনেকে। এ সময় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল হেকিম, পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাছিত সুজন, শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু, দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন, পশ্চিম বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রলীগের হাজারো নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।