সিন্টু রঞ্জন চন্দ :
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ৮৩৯ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে সমপরিমান আয় ও ব্যয় ধরা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় নগরীর আরামবাগ এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এই বাজেট ঘোষণা করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দু’বারের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এর আগে কোরআন তেলওয়াত করেন কাজিটুলা জঙ্গল শাহ্ মঙ্গল শাহ্ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা আব্দুর নুর, গীতাপাঠ করেন নগরীর জিন্দাবাজার শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়ার ধর্ম পরিব্রাজক সুধাময় চক্রবর্তী, ত্রীপিটক পাঠ করেন, সিলেট বৌদ্ধ বিহারের আনন্দ ভিক্ষু ও বাইবেল পাঠ করেন নগরীর নয়াসড়ক সিলেট প্রেস বিটারিয়ান চার্চ ফাদার ডিকং নিঝুম এর মধ্যদিয়ে শুরু হয় বাজেট ঘোষণা।
জান্নাতুল নাজমিন আশার পরিচালানায় বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর আজম খান, কাউন্সিলর আজাদুর রহমান, কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম, কাউন্সিলর সন্তুনু দত্ত সন্তু, কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর ছয়ফুল আমীন বাকের, কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান, কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর এ কে এ লায়েক, আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, কাউন্সিলর এসএম শওকত আমীন তৌহিদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সালমা সুলতানা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রেবেকা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নাজনিন আক্তার কনা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাসুদা সুলতানা সাকি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকি ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু। এছাড়া সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, সচিব, ফাহিমা ইয়াসমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট সুনন্দা রায়, সিসিকের শিক্ষা বিষয়ক প্রধান পরামর্শক সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহ. হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দসহ সিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং কর্মচারিগণ।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য আয়ের খাত দেখানো হয়েছে, হোল্ডিং ট্যাক্স ৪৪ কোটি ৯২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের উপর কর ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইমারত নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণের উপর কর ২ দুই কোটি টাকা, পেশা ব্যবসার উপর কর ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপনের উপর কর ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা, বিভিন্ন মার্কেটের দোকান গ্রহীতার নাম পরিবর্তনের ফি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৯০ লাখ টাকা, ঠিকাদারী তালিকাভুক্তি ও নবায়ন ফিস বাবদ ৩০ লাখ টাকা, বাস টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ৫৫ লাখ টাকা, ট্রাক টার্মিনাল ইজারা বাবদ আয় ১৭ লাখ টাকা, খেয়াঘাট ইজারা বাবদ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি ও দোকান ভাড়া বাবদ ১ কোটি টাকা, রোড রোলার ভাড়া বাবদ আয় ৬০ লাখ টাকা, রাস্তা কাটার ক্ষতিপূরণ বাবদ আয় ৫০ লাখ টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে আয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, পানির সংযোগ লাইনের মাসিক চার্জ বাবদ ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, পানির লাইনের সংযোগগ ও পুনঃসংযোগেগ ফিস বাবদ ৮০ লাখ টাকা, নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন ও নবায়ন ফি বাবদ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য ব্যয়ের খাত দেখানো হয়েছে- সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) খাতে ১০ কোটি টাকা, কোভিড-১৯ মোকাবেলা, ডেঙ্গু মোকাবেলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচার উপ-খাতসহ সরকারি বিশেষ মঞ্জুরী খাতে ৩১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, অন্যান্য প্রকল্প মঞ্জুরী বাবদ ১ কোটি টাকা,সিটি কর্পোরেশনের অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প ১০ কোটি টাকা, সিলেট মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ১৩০ কোটি টাকা, ২০১৮ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ড্রেন ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প খাতে ২৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা, মহানগরীর নাগরিক সেবাবৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের জন্য আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ২৬ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা, নগর ভবনের ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা, মহানগরীর যানজট নিরসন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন ছড়া খনন ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ প্রকল্প খাতে ১০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এসফল্ট প্লান্ট স্থাপন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণ খাতে ৩০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোশনের নিজস্ব ফিলিং স্টেশন স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশনের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্লান্ট স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, কুমারপাড়ায় সিটি কর্পোরেশনের নগর মাতৃসদন ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা।
এছাড়া লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ড উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, তোপখানা পানি শোধনাগারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বোতলজাত করে বিক্রয় প্রকল্প খাতে ৩০ কোটি টাকা, দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনাল আধুনিকায়ন প্রকল্প ৩ কোটি টাকা, উৎপাদন নলকূপ স্থাপন খাতে ৫ কোটি টাকা, সুরমা নদীর উত্তর তীর ঘেষে সার্কিট হাউসের সম্মুখ হতে হযরত গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক পর্যন্ত রিটেইনিং ওয়াল এবং ওয়াকওয়েসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা, মহানগরীতে যানজট নিরসনে ৪টি পার্কিং ব্যবস্থা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি জবাইখানা নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪টি খেলার মাঠ নির্মাণ খাতে ৪ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন খাতে ২০ কোটি টাকা, সিটি কর্পোরেশন এলাকার মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মাজার, কবরস্থান, শশ্মান ঘাট, ঈদগাহ উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।
ব্যয়ের খাত হিসেবে ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরগণের স্থায়ী অফিস স্থাপন প্রকল্প ২ কোটি টাকা, ভারতীয় অনুদানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নত পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশন এলাকার অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প খাতে ৫ কোটি টাকা, এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ ও পূর্ত কাজের পাওনাদী পরিশোধের জন্য বরাদ্দ বাবদ ৫ কোটি টাকা, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলেন্স প্রকল্পের আওতায় ইওসি (ঊঙঈ) নির্মাণ প্রকল্প ৫ লক্ষ টাকা, মহানগরীর সুয়ারেজ মাস্টার প্লানের ফিজিবিলিটি স্টাডিকরণ প্রকল্প ৫ কোটি টাকা, ৫০ এমএলডি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের জন্য ১৩.১৩ একর জমি অধিগ্রহণ ৫ কোটি টাকা, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প খাতে ৫০ লক্ষ টাকা, নগরীর বস্তি সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২ কোটি টাকা এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প খাতে মার্কেট নির্মাণ বাবদ প্রাপ্ত সালামী ও সিটি কপোরেশন আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণ ব্যায় গ্রহণ বাবদ মোট ৪৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
বাজেটে রাজস্ব খাতে সর্বমোট ৮০ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ সংস্থাপন খাতে ৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা, শিক্ষা ব্যয় খাতে ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য ও প্রয়ঃপ্রণালী খাতে ব্যয় বাবদ ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ খাতে ব্যয় ৫০ লক্ষ টাকা, বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় খাতে ২০ লক্ষ টাকা, মোকদ্দমা ফি ও পরিচালনা ব্যয় বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা, জাতীয় দিবস উদযাপন ব্যয় খাতে ৭০ লক্ষ টাকা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ব্যয় খাতে ১ কোটি টাকা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি ব্যয় খাতে ১৫ লক্ষ টাকা, মেয়র কাপ ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনে ব্যয় বরাদ্দ ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, মেয়র কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট আয়োজনে ব্যয় বরাদ্দ ৩০ লক্ষ টাকা।
এছাড়া রিলিফ বা জরুরী ত্রাণ ব্যয় বরাদ্দ ১ কোটি টাকা, আকস্মিক দুর্যোগ/বিপর্যয় খাতে ব্যয় বরাদ্দ ২ কোটি টাকা। রাস্তা আলোকিতকরণ ব্যয় বরাদ্দ ৩ কোটি টাকা, কার্যালয় বা ভবন ভাড়া বাবদ বরাদ্দ ১ কোটি টাকা, নিরাপত্তা/সিকিউরিটি পুলিশিং ব্যয় খাতে ৫০ লাখ টাকা, ডিজটাল মেলা আয়োজনে ব্যয় বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা। অনান্য ব্যয় খাতে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া পানি সরবরাহ শাখার সংস্থাপন ব্যয়সহ পানির লাইনের সংযোগগ ব্যয়, পাম্প হাউজ, মেশিন, পাইপ লাইন মেরামতে ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরবাসীকে বকেয়া কর পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নগরবাসী নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য বকেয়া পাওনা পরিশোধ করলে বছরে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব খাতে সর্বমোট ৮২ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা আয় হবে। এতে নগরের উন্নয়ন আরও তরান্বিত হবে এবং উন্নয়নকাজে সরকারের উপর নির্ভরতা কমবে।
এদিকে সিসিকের বাজেট ঘোষণার সময় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন না। করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজেটে বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান সিলেট বিএনপির কয়েকজন নেতা।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, আমি ঢাকা থেকে এসেছি। তাই যেতে পারিনি। পাশাপাশি কিছুদিনে আগে মেয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা শিষ্টাচার বহির্ভূত। এই ঘটনা নিয়ে তার প্রতি ক্ষোব্দ আওয়ামী নেতৃবৃন্দ। এ কারণেও অনেকেই হয়তো সিসিকের বাজেট বর্জন করেছেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, মেয়রতো নিজের মতো করে বাজেট প্রণয়ন করেন। বাজেট করার সময়ও আমাদের কোনো পরামর্শ নেওয়া হয় না। এমনকি বাজেট বাস্তবায়ন নিয়েও কোনো জবাবদিহিতা নেই তার। তাই এমন বাজেটে আমাদের যাওয়া না যাওয়া সমান। তাছাড়া আওয়ামী নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মেয়র যে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করেছেন তারপর আর তার কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়া সমীচীন নয়।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বাজেটে না যাওয়ার বিশেষ কোনো কারণ নেই। মূলত করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক নেতৃবৃন্দ বাজেটে জাননি। কারণ এধরণের অনুষ্ঠানে জনসমাগম বেশি হয়।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি একটি মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল। তাই পেশাগত কারণে বাজেটে যাওয়ার সময় হয়নি। তাছাড়া এই করোনার সময় জনসমাগম এড়িয়ে চলা ভাল তাই যাইনি। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। দলের অন্যানরা কেন জাননি তা আমার জানা নেই।