কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখার জন্য কোন অশুভ শক্তি এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দেশ যেন আবার সেই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে পিছিয়ে দিতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা আসবে তারা দেশের উন্নয়নের গতিটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেটাই আমরা চাই। এমন কেউ যেন না আসে, যারা আবার বাংলাদেশকে সেই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বিজয়ী দেশ। বিশ্ব দরবারে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করেই চলবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।
রবিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম দেশের বিভিন্ন স্থানের পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার পরামর্শ দিয়ে বিদ্যুৎ খাতে তাঁর সরকারের দেয়া ভর্তুকির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কাজ যখন থাকবে না, বিদ্যুতের সুইস বন্ধ করে রাখুন। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে আরও বেশিসংখ্যক জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। এই সময় সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিল। বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাঁচটি হচ্ছে- হবিগঞ্জের জুলদায় বিবিয়ানা-৩ ৪শ’ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইউনিট-২, নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট, বাগেরহাটে মধুমতি ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উত্তরণ।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে নবনির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রকাশনা ‘হান্ড্রেড’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও সার চাওয়ার অপরাধে মানুষকে গুলি করে হত্যা এবং অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ২০১৩ সালে বিএনপি জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস যখন শুরু হলো, তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেবল আগুন দিয়েই পুড়িয়ে দিল না, সেখানকার কর্মরত বিদ্যুতের ইঞ্জিনিয়ারকে সেই আগুনে ফেলে হত্যা করা হলো।
তিনি বলেন, আসলে তারা (বিএনপি) মানুষকে কিছু দিতে পারে না। মানুষের জীবন নিতে আর কেবল ধ্বংস করতে পারে, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের মানুষ অনেক কিছুই ভুলে যাই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যে ক’টা ভাল কাজ করেছেন তার জন্যই তাঁকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মামলা খেতে হয়েছে বা হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তাই বলে তিনি থেমে থাকেননি। কারণ আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব, আলো জ্বালাব। আমরা প্রায় লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি এবং শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।
বর্তমানে বিদ্যুৎ গ্রাহক ৪ কোটি ৯ লাখ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ার ফলে গ্রাম পর্যায়েও তাঁর সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নাগরিক সুবিধা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেটা আমাদের সংবিধানে নির্দেশ করেছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল। মানুষের মাঝের বৈষম্যটা কমিয়ে আনাই ছিল সে স্বপ্ন, যে সুযোগ তাঁর সরকার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ যারা ব্যবহার করেন তাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ আমরা যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি তার খরচ কিন্তু অনেক বেশি। কিন্তু আমরা গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য সেখানে ব্যাপকহারে ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদনের যে খরচ সেটা কিন্তু বিদ্যুৎ বিল হিসেবে আপনাদের দিতে হচ্ছে না। অনেক কম টাকা বিল নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে সকলকে একটু অনুরোধ করব বিদ্যুৎ ব্যবহারে আপনারা সচেতন হবেন। যখন লাগবে না নিজের হাতেই নিজের ঘরে বিদ্যুতের সুইসগুলো বন্ধ করে রাখবেন। তাতে বিলটাও কম আসবে, আপনাকেও টাকা কম দিতে হবে। আর আমাদের বিদ্যুৎটাও সাশ্রয় হবে। এ বিষয়টায় সবাইকে নজর রাখার জন্য আমি একটু অনুরোধ করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে দেশে বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল চালু হবে, পর্যায়ক্রমিকভাবে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের ব্যবস্থা সরকার করবে, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি উৎপাদন হবে দেশে, রেল খাতটাকে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎচালিত খাতে নিয়ে আসাসহ এরকম ভবিষ্যতের বহুপরিকল্পনা তাঁর সরকারের রয়েছে। কাজেই বিদ্যুৎটা সবসময় আমাদের লাগবে। অতীতের ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট থেকে বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দৈনিক ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট হয়েছে।
দেশের জনগণের আর্থিক সঙ্গতি এবং ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখন একেবারে গ্রামের মানুষও টেলিভিশন, ফ্রিজ ব্যবহার করে। এমনকি এসিও ব্যবহার করে। অন্তত সেই সক্ষমতা আস্তে আস্তে বেড়ে উঠছে। সেটা আরও বেড়ে উঠুক সেটাই আমি চাই। গ্রাম এবং শহরের বৈষম্যটা যেন আর না থাকে এবং গ্রামের মানুষ যাতে সবধরনের সুযোগ-সুুবিধাটা পায়।
দেশবাসীকে উদ্দেশে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে যদি আপনারা সাশ্রয়ী না হন তাহলে কত ভর্তুকি আমরা দিতে পারব? সেজন্য সবাইকে অনুরোধ করব বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে। আর নিজের ঘরের বিদ্যুতের সুইসটা নিজে অফ করলে সেখানে লজ্জার কোন বিষয় নেই। আমি ঘর থেকে বের হবার সময় যেখানে দেখি অপ্রয়োজনীয় সেখানকার বিদ্যুতের সুইসগুলো নিজের হাতেই অফ করি। গণভবনে বাস করলেও আমার নিজের অংশে বিদ্যুতের সুইসগুলো আমি অফ রেখে অভ্যাসটা ঠিক রাখি। চিরদিন তো কেউ আর প্রাইম মিনিস্টার থাকে না। এটা হয়তো পাঁচ বছরের জন্য। তখন তো আবার নিজের মতোই চলতে হবে। অভ্যাসটা নষ্ট করে তো লাভ নেই। তাই অভ্যাসটা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে তিনি লক্ষ্য রাখেন বলেও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সবাইকে বলব মিতব্যয়ী হোন, যেটা সাশ্রয় হবে সেটা দিয়ে আমরা হয়তো আরেকটা গরিব মানুষকে সহায়তা দিতে পারব এবং দেশ এগিয়ে যাবে। আর এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। চলমান কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তাঁর সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতার প্রশংসা করে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকার ভ্যাকসিন কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে এবং দেশের একজনও যাতে ভ্যাকসিন দেয়া থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য যত ভ্যাকসিন লাগে তাঁর সরকার সংগ্রহ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই আমরা অর্থনীতির গতিটা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। হয়তো বিশ্বমন্দার কারণে উন্নয়নের কাক্সিক্ষত গতিধারা অব্যাহত রাখা সম্ভবপর হয়নি। তিনি তাঁর সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং শতবর্ষমেয়াদী ডেল্টা পরিকল্পনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা আসবে তারা দেশের উন্নয়নের গতিটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেটাই আমরা চাই। এমন কেউ যেন না আসে। যারা আবার বাংলাদেশকে সেই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে জাতির পিতার অবদানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সদ্য স্বাধীন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ১৯৭২-এর ১ মে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার (পিও-৫৯) জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন। তিনি গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং পল্লী বিদ্যুতের ব্যবস্থাটাও তাঁর হাতেই শুরু ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর পরবর্তী সময়ে দেশে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়ে যাওয়ায় সরকারগুলো, যার অধিকাংশই সামরিক সরকার, তারা জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ না করে মুষ্টিমেয় চাটুকার তোষামোদকারীদের মদদে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। অথচ জনগণের উন্নয়নে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তথাপি তারা তৎকালীন মিডিয়ায় নিজেদের ব্যাপক প্রচার পায় আর বঙ্গবন্ধুর সরকার যে এত উন্নয়নের কাজ করে গেছেন তার উল্টোটাই প্রচার করা হতো।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সে সময়কার গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে সমসাময়িককালেও কোন কোন ক্ষেত্রে সে লক্ষণ খুঁজে পাওয়ার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আমি এত উন্নয়ন করার পরও কিছু কিছু লোকের মুখে কিছু কথা যখন শুনি, মনে হয় যেন সেই সময়কার সব সুরে কথা বলার প্রতিধ্বনিটাই আমি শুনতে পাই। সেসব শ্রেণীর লোক কিন্তু সমালোচনা করেই যায়। যদিও আমি এর পরোয়া করি না। কারণ দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য আমার কাজ করতে হবে এবং জাতির পিতার যে স্বপ্ন এদেশকে ঘিরে, তা পূরণ করতে হবে।
সীমাহীন লোডশেডিং ও ভেঙ্গে পড়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ’৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারী খাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য আইন ও নীতিমালা করলাম এবং ছোট্ট ছোট্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্র যাতে নির্মিত হতে পারে সে ব্যবস্থা করলাম। এটাকে বেসরকারী খাতে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করলাম এবং বিদেশী বিনিয়োগের চেষ্টা করলাম। তিনি বলেন, বেসরকারী খাতে দেশে প্রথম হরিপুর ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘পাওয়ার সেলে’র মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৪৩শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত করি।
শিল্প মালিকদের ডেকে নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে সে সময় তাঁর উৎসাহিত করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবার জন্য বিশেষ আইনও আমরা করলাম। যেজন্য তাঁকে ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এক ডজন মামলাও খেতে হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ২০০৬ এর জানুয়ারি মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যাসহ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিদ্যুতের উৎপাদন এক ইউনিটও না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়ে ফেলার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতা থেকে যাওয়ার সময় তাঁর সরকার দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত করলেও ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশে বিদ্যুৎ পান মাত্র ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট।