কাজিরবাজার ডেস্ক :
আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধীদের শেষ ঘাঁটি পঞ্জশিরও দখলে নেওয়ার দাবি করেছেন দেশটির নতুন শাসকরা। কাবুল দখলের সপ্তাহ তিনেকের মধ্যে গোটা দেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। তাদের এবারের লক্ষ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এ বিজয়ের মাধ্যমে আমাদের দেশকে যুদ্ধ থেকে পুরোপুরি বের করে আনা হয়েছে। আফগান রাজধানী কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, তাদের এবারের লক্ষ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন।
তিনি বলেন, আপাতত অন্তর্বর্তী সরকার হতে পারে। তাতে সংস্কার, পরিবর্তন ও অন্য মৌলিক পদক্ষেপের সুযোগ থাকবে।
তালেবান মুখপাত্র আরও বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা নতুন সরকারের ঘোষণা দেখতে পাবো। তবে নির্বাচন আপাতত দৃষ্টিসীমায় নেই। পরের প্রক্রিয়া কীভাবে চলবে তা পরবর্তী সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে।
কাবুল থেকে ১২৫ কিলোমিটার উত্তরাঞ্চলীয় পঞ্জশির উপত্যকায় কয়েকদিন ধরেই তালেবানের সঙ্গে ন্যাশনাল রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তানের (এনআরএফ) সংঘর্ষের খবর শোনা যাচ্ছে। এটি ছাড়া দেশটির বাকি অঞ্চলগুলো তিন সপ্তাহ আগেই তালেবানের দখলে চলে যায়।
গত ১৫ আগষ্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিলে পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারের পতন ঘটে। তবে সরকারপন্থি ও তালেবানবিরোধীদের একটি অংশ পঞ্জশির প্রদেশে গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ এবং মুজাহিদীন নেতা আহমদ শাহ মাসউদের ছেলে আহমদ মাসউদ।
সোমবার তালেবান মুখপাত্র দাবি করেছেন, তাদের আক্রমণের মুখে আমরুল্লাহ সালেহ পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। এর একদিন আগে (৫ সেপ্টেম্বর) এনআরএফ নেতা আহমেদ মাসুদ বলেছেন, তিনি শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কাবুলের নতুন শাসকরা।
অন্যদিকে তালেবান পঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা বললেও তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এনআরএফ। সংগঠনটির মুখপাত্র আলি মাইসাম বলেছেন, এটি সত্যি নয়। তালেবান পঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নেয়নি। আমি তালেবানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করছি।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশকিছু ছবি ও ভিডিওতে পঞ্জশিরের প্রাদেশিক গভর্নর ভবনের গেটের সামনে তালেবান যোদ্ধাদের দেখা গেছে।