ঝুমনের মুক্তি চাইলো সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ

1

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা  :
সকল সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার ও উদার-অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বানে সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ জামালগঞ্জ এর উদ্যোগে শনিবার দুপুরে এক ফলো-আপ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ জামালগঞ্জ এরপিস এ্যাম্বাসেডর জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সমন্বয়কারী মিসবাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ সুনামগঞ্জ এর প্রধান উপদেষ্টা, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আফিন্দি, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ জামালগঞ্জ এর পিস এ্যাম্বাসেডর, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বীনা রানী, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ দিরাই এর সমন্বয়কারী, দিরাই প্রেসক্লার সভাপতি সামছুল ইসলাম সরদার খেজুর, জামালগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টিল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান তালুকদার।
সভায় বলা হয়, আমরা, শান্তি-সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের লক্ষ্যে গঠিত ‘সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ’, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায় ও মন্দিরের ওপর হামলা একটি নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বা জাতীয় কোনও ঘটনার রেশ ধরে, যে কোনও রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে, এমনকি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরেও পুরো একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে এমন ধারাবাহিক অপরাধ বাংলাদেশে ঘটে চলেছে। সর্বসম্প্রতি পিরোজপুরের নেছারাবাদ, খুলনার রূপসা, সুনামগঞ্জের শাল্লার হামলাসমূহ সারাদেশে, বছরব্যাপী ধারাবাহিকভাবে ঘটতে থাকা ঘটনারই অংশমাত্র। আমরা শাল্লার নোয়াগাঁওয়েল যুবক ঝুমন দাসের মুক্তি দাবি করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সর্বদরীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ জামালগঞ্জের সদস্য জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অঞ্জন পুরকায়স্থ, উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক খালেদা আক্তার, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ সরকার, জামালগঞ্জ মহিলা পরিষদের সভাপতি শেখ আয়শা বেগম, জামালগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন।
তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটি বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র হতে পারে না। কিন্তু এটিই যে ঘটে চলেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। যতদিন না সাম্প্রদায়িক উস্কানী গৃষ্টি করা ও তাতে সাড়া দেয়ার মতো ঘৃণ্য ঘটনাকে আইনী ও সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করা হবে, ততদিন এ ধরণের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আমরা বাংলাদেশের সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, এবং রাজনৈতিক-সামাজিক-ধর্মীয় নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান রাখছি এসব সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও সাম্প্রদায়িক উস্কানীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি শাল্লার ঝুমন দাসের অবিলম্বে মুক্তি এবং পিরোজপুরের সাম্প্রতিক হামলাসহ সকল সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে। আমরা একটি উদার, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বিশ্বাস করি যে তার সকল নাগরিকের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।