স্টাফ রিপোর্টার :
প্রেমিক বন্ধু ও তার প্রেমিকাকে সাহায্য করে কারাগারে যেতে হয়েছে এক সিএনজি অটোরিক্সা চালককে। রাজীব হাসান অনিক (১৭) নামের এই অটোরিক্সা চালক হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার তেঘরিয়া গ্রামের রাজু মিয়ার পুত্র।
গত মঙ্গলবার রাতে তাকে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ সুরমা থানার একদল পুলিশ। গতকাল বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর মুছারগাঁও গ্রামের এক কিশোরীর (১৬) সঙ্গে একই গ্রামের হেলাল মিয়ার পুত্র আফছার আহমদ হৃদয়ের (১৯) প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ১৪ আগস্ট রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ওই দিন তাদের সাহায্য করেন হৃদয়ের বন্ধু অটোরিক্সা চালক অনিক। পরে ১৭ আগস্ট ওই কিশোরীর ভাই রাসেল আহমদ দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি তার বোনকে হৃদয় অপহরণ করেছে বলে উল্লেখ করেন।
অভিযোগ দায়েরের পর থেকে হৃদয় ও রাসেলের বোনকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। পরে হৃদয়ের ভাই কওছারের মাধ্যমে অটোরিক্সা চালক অনিকের সন্ধান পাওয়া যায় এবং তাকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে গ্রেফতার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশকে জানায়, হৃদয় ও ওই কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। হৃদয় ১৪ আগষ্ট রাতে তাকে ফোন করে তার অটোরিকশা নিয়ে দক্ষিণ সুরমার বেজবাড়ি রাস্তার মুখে আসতে বলে। সেখানে অনিক আসার পর হৃদয় ও ওই কিশোরী তার গাড়িতে ওঠে প্রথমে দক্ষিণ সুরমার তেলিবাজারে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে হৃদয় ও তার প্রেমিকাকে নিয়ে অনিক তার খালার বাড়িতে যায়। সেখানে রাত কাটানোর পর ১৫ আগস্ট দুপুরে প্রেমিক-প্রেমিকাকে ফেঞ্চুগঞ্জে হৃদয়ের খালার বাড়িতে পৌঁছে দেয় অনিক। গতকাল বুধবার অনিককে আদালতে প্রেরণ করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে বিকেলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, হৃদয় ও ওই কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তাদের সাহায্য করে অনিক। হৃদয়ের ভাই কাওছারের মাধ্যমে আমরা অনিকের সন্ধান পাই। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আমাদের বিস্তারিত বলে। তিনি বলেন, হৃদয় ও তার প্রেমিকাকে এখনও পাওয়া যায়নি। উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। তাদের সন্ধান পেতে সংশ্লিষ্ট যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
