কাজিরবাজার ডেস্ক :
চিহ্নিত একটি মহল এখনও দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার শোকাবহ আগষ্ট মাসের কর্মসূচি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালনের জন্য আহ্বান জানিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, ‘আজও তারা অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত নির্লজ্জভাবে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে সকল বাধা-বিপত্তি জয় করে শেখ হাসিনা আজ বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে এক মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগস্ট বাঙালি জাতির নিকট বেদনাদায়ক একটি মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বিশ্বের ইতিহাসে নির্মমতার এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। ১৯৭৫ সালের এই দিনে নিকৃষ্ট ও ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বুলেটের আঘাতে স্তব্ধ করে দেয়া হয় বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তি সংগ্রামের দ্ব্যর্থহীন বজ্রকণ্ঠ। দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুইকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঘাতকেরা এদিন শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অগ্রযাত্রা, সমৃদ্ধি ও সুন্দর আগামীর স্বপ্ন।’
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতির কাছে শুধু শোক দিবস নয়, বাঙালি জাতির শক্তি সঞ্চয়েরও দিন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আদর্শিক লড়াই ও সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে সমগ্র জাতির শোককে আজ শক্তিতে রূপান্তরিত করেছেন। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, নিরলস পরিশ্রম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আগামী ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী (জাতীয় শোক দিবস) সীমিত পরিসরে কড়াকড়িভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য দেশবাসী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার সকল সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়াও জাতীয় শোক দিবসে দেশের সকল মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে জাতীয় শোক দিবসসহ আগষ্ট মাসের পালনীয় দিবসগুলোতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে তা পালনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড এবং সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সমস্ত শাখার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।