বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ঈদুল আযহার পর গত ২৩ জুলাই থেকে চলমান বিধিনিষেধ ৫ আগস্ট মধ্য রাত পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। করোনার উচ্চ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিকল্প নেই। অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এবিএম খুরশীদ আলম শুক্রবার এই কথা বলেছেন।
জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে। তখনই দেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক কমিটি বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু সরকার কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করে। উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেই বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি নাজুক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমরা আরও দশদিন আগেই কেবিনেট মিটিংয়ে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। যদিও এ ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। আমরা বলেছি কেবল জরুরী সেবা ছাড়া যেভাবেই হোক সবকিছু সীমিত রাখতে হবে। এগুলো মনিটর করতে হবে। সব খুলে দিলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কিভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেব? রোগীদের কোথায় জায়গা দেব? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব? অবস্থা খুবই খারাপ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনাতেই আমরা বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।
২৩ জুলাই করোনায় মারা গেছেন ১৬৬ জন। পরদিন ২৪ জুলাই ১৯৫ জন, ২৫ জুলাই ২২৮ জন, ২৬ জুলাই ২৪৭ জন, ২৭ জুলাই ২৫৮ জন, ২৮ জুলাই ২৩৭ জন ও ২৯ জুলাই ২৩৯ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। সবমিলে গত সাতদিনে ১৫৭০ জন মারা গেছেন। গত সাতদিনে মোট মৃত্যুর ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মৃত্যু ঘটেছে।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ বলেছে, ঈদুল আযহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদের আগে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও ওইদিন ছয়টা থেকে ১৪ দিন খুবই কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। এই বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগষ্ট রাত ১২টা পর্যন্ত। এরই মধ্যেই বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এটি বাস্তবায়নে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে।