কাজিরবাজার ডেস্ক :
অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন করার ক্ষেত্রে আবারও সর্তকতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা/ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ নজরে আসার পরে এক বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে ২০১৭ সালে ২৪ ডিসেম্বর সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার করে কিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেনের বিষয়টি মানুষের নজরে আনার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রেরিত মতামতের অংশ বিশেষ কোনো কোনো পত্রিকায় খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা কোনক্রমেই সাধারণভাবে প্রচারযোগ্য নয়।
আরও বলা হয়, “সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং ইন্টারনেট হতে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে, অনলাইন ভিত্তিক ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বা কিপ্টোকারেন্সি যথা বিটকয়েন, ইথিরিয়াম, রিপিল, লাইটকয়েন ইত্যাদি বিবিধ বিনিময় প্লাটফর্মে লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ মুদ্রা নয় বিধায় এর বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবির স্বীকৃতও থাকে না। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয় বিধায় এসব ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর দ্বারা সমর্থিত হয় না।
অনলাইনে নামবিহীন/ছদ্মনামিক প্রতিসঙ্গীর সাথে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা অনিচ্ছাকৃতভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে। মূলত অনলাইন ভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রায় অর্থমূল্য পরিশোধ ও নিষ্পত্তি সংঘটিত হয় এবং এটি কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ/পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ কতৃর্পক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত না হওয়ায় গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন।
এমতাবস্থায়, সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে বিটকয়েনের ন্যায় ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন বা এসব লেনদেনে সহায়তা প্রদান ও এর প্রচার হতে বিরত থাকার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। ”