সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার অন্যতম পলাতক আসামী সৎমা জুনু বেগমকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৮ জুলাই রবিবার রাত ১১ টায় ছাতক থানার কালারুখা ইউনিয়নের বোবরাপুর গ্রামে সদর থানার এসআই শরীফ উদ্দিন ও ছাতক থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে পলাতক আসামী জুনু বেগম কে পুলিশের হাত থেকে ছিনতাই করার চেষ্টা চালায় জুনুর ভাই হুশিয়ার আলী ও জুনুর গডমাদার জাহানারা বেগম এর পুত্রসহ আত্মীয় স্বজনরা। এসময় পুলিশের উপর হামলাও চালায় তারা। কিন্তু শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও পুলিশ রাতের অন্ধকারে আসামীকে গ্রেপ্তার করে ঐ রাতেই থানায় নিয়ে আসে।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, গত ৩ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় সৎমা জুনু বেগম স্বামী সিরাজ মিয়াকে চায়ের সাথে নেশা পান করিয়ে তার স্কুল পড়ুয়া কিশোরী কন্যাকে ফুঁসলিয়ে জোরপূর্বকভাবে সুনামগঞ্জ সদর থানার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সদরগড় গ্রামের পিত্রালয় হতে সিলেটে নিয়ে যায়। ঐদিন রাত ১২টায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন মা আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে ভিকটিমকে মাহমদ আলীর দ্বারা জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন আইন ২০২০ এর ৭,৯ (১) ও ৩০ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। ইব্রাহিমপুর পশ্চিমহাটি গ্রামের আশরাফ আলীর কন্যা ও ভিকটিমের খালা বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে, ১৯৪/২০২১নং নারী ও শিশু নির্যাতন (পিটিশন) মোকদ্দমাটি দায়ের করেন। মামলায় বিজ্ঞ আদালত তদন্তপূর্বক এফআইআরক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সদর থানার পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। মামলায় ছাতক থানার কালারুখা ইউনিয়নের বোবরাপুর গ্রামের আছমত আলীর বখাটে পুত্র ৩ সন্তানের জনক মাহমদ আলী (৩৫) এবং একই গ্রামের মৃত মুসলিম আলীর কন্যা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের পূর্ব সদরগড় ইব্রাহিমপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার স্ত্রী জুনু বেগম (৩৫) সহ অজ্ঞাত লোকদেরকে আসামী করা হয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোঃ সহিদুর রহমান ও ছাতক থানার ওসি মো: নাজিম উদ্দিন ধর্ষণ মামলার আসামী জুনু বেগমকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণকারীর সহযোগী জুনু বেগমকে আমরা গ্রেফতার করেছি। মূল আসামী ধর্ষক মাহমদ আলীকেও গ্রেফতারের জন্য আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।