স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জমে উঠতে শুরু করেছে কাজিরবাজার পশুর হাট

5
কাজিরবাজার পশুর হাটে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য আনা গরু।

স্টাফ রিপোর্টার :
আরমাত্র কয়েকদিন পর মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। এবার করোনভাইরাস থাকায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজার পশুর হাট আস্তে আস্তে জমে উঠতে শুরু করেছে।
এ বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেশী-বিদেশী গরু নিয়ে এসে হাটে তুলেছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ব্যাপারীরা।
ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে গরুর দাম নামানো। অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম এবার কম। তবে ২/১ দিন পর বাজার জমার পাশাপাশি গরুর দাম বাড়তে পারে। এখন যারা আসছেন গরু দেখছেন দরদাম করেই চলে যাচ্ছেন।
গতকাল বিকেলে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় ও নেপালি গরুরও সমাগম রয়েছে বাজারে। এছাড়া স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা দেশীয় গরু হাটে তুলেছেন। পাশাপাশি সিলেটী খামারি গরুও রয়েছে। ক্রেতারা গরু-ছাগল দেখছেন, দরদাম করছেন মাঝে মাঝে কেউ কেউ কিনেও পশু বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার পশু দেখতে দুপুর থেকেই হাটে ভিড় করেছেন। গতকাল কাজিরবাজারে ক্রেতার তুলনায় দর্শক বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
গতকাল শুক্রবার নগরীর উপশহরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম কাজিরবাজার পশুর হাটে পশু দেখতে এসেছেন। তিনি বাজার ঘুরে ঘুরে গরু-ছাগল দেখছেন দরদাম করছেন। তবে গরু-ছাগল রাখার জায়গা না থাকায় তিনি ঈদের আগের দিন গরু কিনে বাসায় নিয়ে যাবেন বলে জানালেন।
এক গরু ব্যাপারী জানান, বাজার কর্তৃপক্ষের আদেশ-নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে তিনি গরু তুলেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বেচাকেনা পুরো জমে ওঠেনি। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, ঈদের দু-তিন আগে হয়তো ক্রেতা সমাগম ঘটতে পারে।
কয়েকটি গরু ও ছাগল নিয়ে এ হাটে এসেছেন আপ্তাব মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বললেন, আমরা দুজন মানুষ কয়েকটি গরু-ছাগল নিয়ে গত পরশু এই হাটে এসেছি। আমাদের থাকা-খাওয়াসহ সঙ্গের পশুগুলোর পেছনে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা খরচ আছে। তবুও বিক্রির আশায় এখানেই থাকছি, আশপাশের হোটেলে ডাল-ভাত খাচ্ছি। তিনি বলেন, প্রতিবার এ সময় যেমন ক্রেতা আসে এবার করোনা থাকায় তেমন ক্রেতা নেই। দু-একজন আসে, গরু দেখে, দাম শুনে চলে যায়। গতবার যে মাপের গরু লাখ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে এ হাটে- এবার সেই গরুর ৬০-৭০ হাজার টাকাও দাম বলছে না ক্রেতারা।
এদিকে,কাজিরবাজার পশুর হাটে নিরাপত্তার নিয়োজিত রয়েছে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি বাজার কর্তৃপক্ষের নিজস্ব লোকও রয়েছে। জাল টাকা শনাক্তকরণ বুথও রয়েছে কাজিরবাজার পশুর হাটে।