মৌ’বাজারে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১১ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট শিগগিরই চালু

14

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
করোনা রোগিসহ অন্যান্য রোগিদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে মৌলভীবাজারে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে ১১ হাজার লিটারের অক্সিজেন প্ল্যান্ট। অক্সিজেন প্ল্যান্ট ভবনের ঢালাই কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের আযহার পরপরই সার্বিক কাজ ও সার্ভিস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এটি বাস্তবায়ন করছে ইউনিসেফ। দ্রুত সময়ের মধ্যে চলে আসবে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক। এটির ধারণ ক্ষমতা বর্তমানে ১১ হাজার লিটার।
জেলা স্বাস্ব্য বিভাগ সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুসারে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধে ইউনিসেফের অর্থায়নে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্যোগ হাতে নেয়। গত বছর উদ্যোগ নেয়া হলেও ধীরগতিতে চলে নির্মাণ কাজ। হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের অধিকাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু অক্সিজেন প্ল্যান্ট না থাকায় অক্সিজেন সরবরাহে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে ঝুঁকিতে পড়ছেন করোনায় আক্রান্ত রোগীরা। দীর্ঘদিন পর হলেও দ্রুত শুরু হতে যাচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্টের সার্ভিস। ফলে করোনা রোগীসহ অন্যান্য রোগীদের ভোগান্তি কমবে। অক্সিজেন প্ল্যান্ট সার্ভিস শুরু হলে করোনা রোগীসহ জেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও এগিয়ে যাবে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানান, প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল ৬ হাজার লিটার প্রতিস্থাপনের। কিন্তু এখন তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট হাসপাতালের জন্য একটা বড় যোগান। প্রতি লিটার তরল অক্সিজেন থেকে ৮৬০ লিটার গ্যাসীয় অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। এটি সম্পন্ন হলে হাসপাতালের ২৫০ শয্যার প্রতি শয্যায় অক্সিজেন লাইন থাকবে। প্রয়োজনে রোগীর চাপ বিবেচনায় অতিরিক্ত রাখা যাবে। এছাড়া অপারেশন থিয়েটারসহ যেখানে প্রয়োজন সেখানে লাইন রাখা যাবে। ফলে ভর্তিকৃত রোগীরা আগের চেয়ে বেশি সেবা পাবে। অক্সিজেন প্ল্যান্টের ঢালাইকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে। এরপর এখানে বসবে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বসবে অক্সিজেন ট্যাংক।
এদিকে দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভা মেয়র মো. ফজলুর রহমান নির্মাণাধীন অক্সিজেন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে ঈদের পরপর লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন শেষে সার্ভিস দিতে পারবে। আমরা দীর্ঘদিন থেকে ব্যক্তি উদ্যোগে এই হাসপাতালে অক্সিজেন যোগান দিয়ে যাচ্ছি। এই প্ল্যান্ট হলে দীর্ঘদিনের চাহিদা ও রোগীদের দুর্ভোগ নিরসন হবে, সেবা পাবে করোনা রোগী ও নিয়মিত আসা অন্যন্য রোগীরা।