উপজেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত ব্যয় বন্ধের নির্দেশ

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন উপ-খাতে দেওয়া বরাদ্দে অতিরিক্ত ব্যয় পরিহার করতে হবে। এই ব্যয়ের ক্ষেত্রে ব্যয়োত্তর অনুমোদন দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে অর্থবছর শেষে তাড়াহুড়া করে খরচ না করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উপ-খাতের বাজেট বরাদ্দ বণ্টন এবং সঠিকভাবে বাজেট ব্যবহারের লক্ষ্যে দিকনির্দেশনা দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা/উপজেলা অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসকের অধীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অর্গানোগ্রামের সেটআপ অনুযায়ী কর্মরত সংরক্ষিত বিষয়ের কর্মচারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ থেকে বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি গ্রহণ করবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সার্বক্ষণিক শারীরিক ও বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত একজন পিসিএপিসি ও ৯ জন সশস্ত্র আনসার সদস্যসহ মোট ১০ জন ছাড়া অতিরিক্ত কোনও আনসার সদস্যের বেতন ও ভাতা এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট থেকে পরিশোধ না করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র আনসার সদস্যদের বেতন ও ভাতা পরিশোধের সময় চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে বিগত অর্থবছরের কোনও বকেয়া পরিশোধ করা যাবে না। অর্থবছরের শেষ প্রান্তে হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বিধিবিধান অনুসরণ করে বিল দাখিল এবং আনসার সদস্যদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। এ খাতে পদ্ধতিগত ভুলের জন্য বাজেট সমর্পণ করা হলে পুনরায় বাজেট বরাদ্দ প্রদান করা হবে না বলেও চিঠিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উপজেলা প্রশাসন বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিসকে নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেট সঠিকভাবে অর্থাৎ কৃচ্ছ্রতার সঙ্গে ব্যবহারের জন্য আটটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো:
১. অতিরিক্ত ব্যয়ের ক্ষেত্রে ব্যয়োত্তর অনুমোদন প্রদান করা হবে না, বিধায় বরাদ্দকৃত অর্থের অতিরিক্ত ব্যয় করা যাবে না।
২. প্রদত্ত বরাদ্দপত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসা থাকলে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অবশ্যই এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
৩. বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারের প্রচলিত আর্থিক ও প্রশাসনিক নিয়মাবলি প্রতিপালন সাপেক্ষে কৃচ্ছ্রসাধনের মাধ্যমে ব্যয় করতে হবে।
৪. অর্থবছর শেষে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যয়ের বিবরণীসহ সমর্পণ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
৫. বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের এই অধিশাখার ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোনও কারণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হলে কী কারণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়েছে তার কারণ ব্যাখ্যাসহ অতিরিক্ত বরাদ্দের চাহিদাপত্র পাঠাতে হবে।
৬. বরাদ্দকৃত বাজেটের ভিত্তিতে অর্থবছরের শুরুতেই বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সেই পরিকল্পনা অনুসরণ করে ব্যয় করতে হবে।
৭. অর্থবছরের শেষ পর্যায়ে তড়িঘড়ি করে অর্থ ব্যয় করার প্রবণতা পরিহার করতে হবে।
৮. বেতন-ভাতাদি খাতে বাজেটের বরাদ্দ সীমার মধ্যে আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হলে যথাসময়ে অতিরিক্ত বরাদ্দের চাহিদাপত্র পাঠাতে হবে।