কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসন্ন ঈদুল আযহার ৩ দিনের ছুটির শেষদিন বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই)। এরপরের দুইদিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় টানা ছুটি মিলবে ৫ দিন। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণের হার উর্ধমুখী। চলমান সর্বাত্মক বিধিনিষেধ (লকডাউন) বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী সভার অনুমোদিত ২০২১ সালের সরকারী ছুটির তালিকা অনুযায়ী এবার ২১ জুলাই ঈদুল আযহা হিসেব করে ২০, ২১ ও ২২ জুলাই ঈদুল আযহার ছুটি। ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার। ২৩ ও ২৪ জুলাই যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার হওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটি। ঈদ আর সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে তাই মোট ছুটি ৫ দিন। এদিকে দেশে করোনার ছোবলে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে এবার ঈদুল আযহার সময় সর্বাত্মক বিধিনিষেধ থাকছে কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় দুই উৎসবের মধ্যে একটি হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল এ ঈদ। আরবি বর্ষপঞ্জিতে ঈদুল আযহা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পড়ে। চলতি জিলক্বদ মাস ২৯ দিনে হলে ঈদুল আযহা ২০ জুলাই। আর জিলক্বদ মাস ৩০ দিনে হলে ঈদ হবে ২১ জুলাই। চলতি ১৪৪২ হিজরি সন অনুযায়ী যদি চলতি জিলকদ মাস ২৯ দিনে সম্পন্ন হয় তাহলে এবারের ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুলাই। আর ৩০ দিনে সম্পন্ন হলে ঈদ একদিন পিছিয়ে হবে ২১ জুলাই। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি আগামী ১০ জুলাই সন্ধ্যায় পবিত্র হজের মাস জিলহজ গণনা শুরু ও পবিত্র ঈদুল আযহার তারিখ নির্ধারণ করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক বসবে। এদিন যদি বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যায় তবে ১১ জুলাই পবিত্র জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। ২০ জুলাই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। যদি ৯ জুলাই সন্ধ্যায় পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যায় তবে ১২ জুলাই পবিত্র জিলহজ্ব মাস শুরু হবে এবং ২১ জুলাই যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হবে।