কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার থেকে সাতদিনের দকঠোর লকডাউনে’ ব্যাংকে লেনদেন চলবে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
প্রতি সপ্তাহে শুক্র, শনি ও রবিবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
বুধবার (৩০ জুন) এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলার সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র-মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদরে ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে। অন্যান্য সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিবেচনায় অনধিক দু’টি শাখা খোলা রাখা যাবে।
কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। গ্রাহকদের হিসাবে নগদ-চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট-পে-অর্ডার ইস্যু ও জমাগ্রহণ, ক্সবদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় ভাতা-অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং এ সুবিধা বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস-ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা দেওয়া এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্পাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমুদ্র-স্থল-বিমান বন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা-উপ-শাখা-বুথগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর-কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিতপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে যেসব শাখা বন্ধ থাকবে সেসব শাখার গ্রাহক সেবা কার্যক্রম খোলা রাখা শাখার মাধ্যমে সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বন্ধ হওয়া শাখার গ্রাহকদের গ্রাহকসেবা প্রাপ্তি বিষয়ে অবহিত করতে ওই শাখার দৃশ্যমান স্থানে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শন নিশ্চিত করতে হবে। সব খোলা রাখা শাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
বিধি-নিষেধ চলাকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব স্ব অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলের সময় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের দেওয়া পরিচয়পত্র বহন করতে হবে।
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অত্যাবশ্যকীয় বিভাগগুলো যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপাল-প্রধান শাখা এবং সব বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।