তাহিরপুরে পাহাড়ি ঢলে বন্যা

33
তাহিরপুর সড়কের আনোয়ারপুর ব্রীজের পূর্ব দিকে পাহাড়ি ঢলে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
তাহিরপুরে পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যা দিয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে হাটবাজার, রাস্তাঘাট। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। নিম্ন আয়ের মানুষজন বেকায়দায়।
গত তিন দিনের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তাহিরপুর উপজেলার সর্বত্র বন্যা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে দিনমান বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হওয়ায় সৃষ্ট ঢেউয়ে ভাঙ্গছে হাওর পারের শতাধিক গ্রাম। তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়ক ও তাহিরপুর বাদাঘাট সড়কে স্থানে স্থানে পানি। বন্ধ রয়েছে তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে জেলা সদর ও উপজেলার আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ। আনোয়ারপুর, বালিজুরী, সুলেমানপুর, লামাগাঁও, কাউকান্দি, শ্রীপুর বাজার সহ একাধিক হাট বাজার পনিতে নিমজ্জিত। হাওরপারের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে লোকজন যোগাযোগ করছেন নৌকায়। নিম্ন আয়ের মানুষ জন বৈরী আবহাওয়ায় কোন কাজে যেতে পারছেন না। গ্রামের মানুষজন ঢেউয়ের কবল থেকে ঘরবাড়ি রক্ষায় বাঁশ বন দিয়ে কোন রকম তাদের ঘরবাড়ি বেঁধে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জরুরী কাজে জেলা সদরে যাতায়াতকারী রতনশ্রী গ্রারে সোহাগ মিয়া জানান, আনোয়ারপুর ব্রীজের পূর্ব পাশে ও শক্তিয়ারখলা বাজারে পূর্ব পাশে সড়কের উপর দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। স্থান দুটো নৌকা যোগে খুব কষ্ট করে পারাপার হয়েছেন তিনি।
যাদুকাটা নদীর পাথর ব্যাবসায়ী ও পাথর মিল মালিক বালিজুরী গ্রামের মাহমুদ আলী জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি তাদের পাথর ড্রাম্প এর উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গত দুদিন ধরে তাদের কাজ কর্মবন্ধ রয়েছে।
গত দু তিন দিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নদ নদী ও হাওরে পানি বেড়েছে। দিনভর এভাবে বৃষ্টি থাকলে আরো পানি বাড়বে বলে ধারনানদূ ওহাওর সংশ্লিষ্ট লোকজনের।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান কবির জানান, যাদুকাটা নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। তাছাড়া তিনি নিয়মিত বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিচ্ছেন।