স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে সীমিত পরিসরে লকডাউন। সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও লকডাউন চলছে। লকউডাউন উপলক্ষে সিলেটে গণপরিবহন বন্ধ করা হলেও সড়কে রয়েছে অটোরিক্সা ও প্রাইভেটকারের দীর্ঘলাইন। করোনা পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ৩ দিনের সীমিত বিধিনিষেধ (লকডাউন)।
নগরীর প্রধান প্রধান সড়গুলোতে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, অ্যাম্বুলেন্স এবং পণ্যবাহী পরিবহন অন্যান্য কিছুটা কম থাকলেও স্বাভাবিক ভাবে যানচলাচল করছে।
জানা যায়, আগামী বৃহস্পতিবার ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ থাকবে। এ সময়ে পণ্যবাহী যান ও রিক্সা ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র। খোলা থাকলেও হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না। নগরীর শাহজালাল উপশহর, টিলাগড়, মেজরটিলা, কুমারপাড়া, মীরবক্সটুলা, মদিনা মার্কেট, কদমতলী ও হুমায়ুন রশীদসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা যায়। করোনা পরিস্থিতিতে সিলেটের কদমতলী এলাকা থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি এবং ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
তবে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রয়েছে শপিংমল, বিপণীবিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের পাশাপাশি খোলা রয়েছে ছোটখাটো দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া পাড়া-মহল্লা ও অলি-গলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সকল দোকান খুলেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসছেন অনেকেই। এর বাইরে অনেককেই দেখা গেল কৌতুহলবশত: বাসার বাইরে বের হতে বা ঘুরতে। এদিকে এসব আবাসিক এলাকার অধিকাংশ দোকানপাটই ছিল খোলা।
এর আগে লকডাউন ঘোষণা করে গত রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে হবে কঠোর লকডাউন।
শর্তে যা আছে- ১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। ৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে। ৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করতে হবে। ৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।