কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনার সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু আইন-বিধি প্রণয়ন ও সংস্কার করেছে। প্রণয়ন করেছে এমপিও নীতিমালা।
শিক্ষা আইনও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং বিভাগের অধীন ১৫ দপ্তর ও সংস্থা প্রধান ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি সই করেন। একই স্থানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং ওই বিভাগের ৫টি দপ্তর ও সংস্থা প্রধান ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই করেন।
অত্যন্ত সফলভাবে ৩৫ কোটি পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব কর্মচারীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ২০৪১ সালের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার এসডিজি অর্জনে শিক্ষা প্রধানতম হাতিয়ার। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কাজ জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গত এক বছর করোনার কারণে আমাদের কার্যক্রমের গতি কিছুটা কম ছিল। কিন্তু আগামী এক বছরে সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজের গতি বাড়াতে হবে।
কর্মসম্পাদন চুক্তি সইয়ের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের ভালো কাজের পুরস্কার হিসেবে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ফজলুর রহমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অফিস সহায়ক ইউসুফকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব রহিমা আক্তার, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ইউসুফ আলী এবং জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমির (নেকটার) পরিচালক মো. শাফিউল ইসলাম ২০২০-২০২১ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পান।