স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় রাতের খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে এক দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে এয়ারপোর্ট এলাকার ভাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিবারের সবাইকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এসএমপি পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন এয়ারপোর্ট এলাকার ভাটা গ্রামের রাজু আহমেদের (৫০) পরিবার। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় ও লোকজনের কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের কাছে সন্দেহের তৈরি হয়। এসময় রাজু আহমেদ ও তার পরিবারের লোকজনদের প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। অনেকক্ষন ডাকাডাকি করার এক পর্যায়ে রাজু ভারসাম্যহীনভাবে ঘরের দরজা খুলে দেন। তখন তিনিসহ প্রতিবেশী লোকজন ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো এবং রান্না ঘরের এ্যাডজাষ্ট ফ্যানের জায়গা ভাঙ্গা দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে রাজু আহমেদ তার স্ত্রী সন্তানদের ডাকাডাকি করলে তাদেরকেও প্রায় অচেতনাবস্থায় পাওয়া যায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা রাতের খাবারে ঘুমের ওষধ মিশিয়ে তাদের অচেতন করে রান্না ঘরের এ্যাডজাষ্ট ফ্যানের জায়গা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এদিকে ভিকটিম পরিবারের সকলেই অসুস্থ থাকায় চোরাইকৃত মালামালের বিবরণ জানতে পারেনি পুলিশ। বর্তমানে পরিবারের সবাইকে তাদের আত্মীয় স্বজন চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
পুলিশ জানায়, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।