লকডাউনের সংবাদে নিত্যপণ্যের দোকানে উপচেপড়া ভিড়

8

স্টাফ রিপোর্টার :
লকডাউনের সংবাদে নগরীতে নিত্যপণ্যের দোকানে উপচেপড়া ভিড় লেগেছে। দিনদিন করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকার এবার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে।
কাল সোমবার থেকে সিলেটসহ সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা আসে শুক্রবার রাতে। এ সময় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি অফিস, যানবাহন বন্ধ থাকবে। সাধারণ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। সেই খবর শুনার পর থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। তাই শনিবার সকাল থেকে নগরীর জেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারী ও খুচরা দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
জানা যায়, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে লকডাউনে নগরীর বিভিন্ন বাজারে আতঙ্কের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে ভিড় করছেন। কেউ কেউ একসঙ্গে বাড়তি পরিমাণ পণ্য কিনে ঘরে ফিরছেন। লকডাউন পরিস্থিতির বিবেচনা করে অনেক মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মজুদ শুরু করেছেন। নগরীর শপিংমলগুলোতেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ধাপে ধাপে লকডাউন বাড়তে পারে বলে অনেকেই আবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অতিরিক্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে দেখা যায়। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেটের অন্যতম লালবাজার, কালিঘাট, কাজিরাবাজর বাজারে ক্রেতাদের বাড়তি ভিড় দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যচাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছিলেন। কেউ কেউ ৭দিন কিংবা ১৫ দিনের জন্য পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ বাজারে ক্রেতার চাপ বেড়ে যাওয়াতে চাল, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য পণ্যে কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা করে বেশি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে বাজার করতে আসা এসব লোকজনকে কোন স্বাস্থ্যবিধি না মানার দৃশ্য দেখা গেছে।
দক্ষিণ সুরমার থেকে কালিঘাটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসেন ফখরুল মিয়া। রিকশা ভাড়া করে একটি বস্তা ও হাতে কয়েকটা ব্যাগ সঙ্গে পাঁচ লিটারের তিনটি সয়াবিন তেলের বোতল। এত বাজার কেন- প্রশ্নে ফখরুল জবাব, এক সপ্তাহের লকডাউন আসছে। কিছুদিন পরই ঈদ আসছে। তাই এক মাসের বাজার একসঙ্গে করে নিলাম।