করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় চার পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে উৎকণ্ঠা

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ফের বেড়েছে করোনা মহামারির প্রকোপ। দিন যাচ্ছে আর চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।
স্কুলের পাঠ বন্ধ এক বছরের বেশি সময়। এ বছর চারটি বড় বড় পাবলিক পরীক্ষায় করোনার প্রভাব স্পস্ট হয়ে উঠেছে।
প্রাথমিক স্তরের প্রাথমিক-ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী, অষ্টমের জেএসসি-জেডিসি মাধ্যমিক স্তরের এসএস ও সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া এবছর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
বুধবারের (২৩ জুন) সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ জন।
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বুধবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, পরিস্থিতি নাজুক হলে সারাদেশেই ‘কঠোর লকডাউন’ দেওয়া হবে। অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, সারাদেশে আপাতত লকডাউন নয়। তবে পরিস্থিতি যদি নাজুক হয় এবং প্রতিটি জেলায় যদি সংক্রমণ ২০ শতাংশের উপরে চলে যায়, তা হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ইতোমধ্যে ঢাকা ঘিরে সাত জেলা- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রতিদিনই বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করছে। পরিস্থিতি দেখে কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে আভাস এসেছে।
গত কয়েক বছর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আসছে। আর নভেম্বরে প্রাথমিক সমাপনী এবং অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
পরীক্ষার্থী-অভিভাবকদের উদ্বেগের মধ্যে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে জানিয়েছে যে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, লকডাউন দেওয়ার কারণে আমরা সব উপ-পরিচালককে নির্দেশনা দেবো যাতে তারা সুবিধামতো সময়ে যেন অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে অবনতি হচ্ছে তাতে আসন্ন প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব হয়ে যাবে। আর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নিতে না পারলে পরীক্ষাও ফলপ্রসূ হবে না। এ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।