চার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মহামারী করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও দেশের মানুষকে উন্নত জীবনের ঠিকানা দিতে চার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। চার স্বপ্নের মধ্যে রয়েছে এলডিসি উত্তরণ, এসডিজি অর্জন, মধ্যম আয়ের পথ সুগম এবং উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাওয়া। প্রস্তাবিক বাজেটে এই স্বপ্ন পূরণের কিছু দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী বিশ বছরের এই পথ পরিক্রমার একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। এতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা নেয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
চার স্বপ্ন পূরণে করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও অর্থনীতিতে পুরোমাত্রায় গতি সঞ্চার করতে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হবে এই বাজেট। শুরু হবে অর্থনীতিতে গতি ফেরানোর বছর। ঘোষিত বাজেট শতভাগ বাস্তবায়নে এবার সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চার স্বপ্ন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় দিক নিদের্শনায় বলেন, ইতোমধ্যে রূপকল্প-২১ বাস্তবায়ন, অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং এমডিজি অর্জনের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাফল্য আসায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের লক্ষ্যে শত বছরের রূপরেখায় ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা নামে আরেকটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। জাতির পিতার তুলিতে আঁকা স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাবে অনেক দূর-বহুদূর, বহুদূর নিরন্তর।
জাতিসংঘের কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত বা এলডিসি হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটায় এবার উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণে আরও জোরেশোরে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। করোনা সঙ্কটের কারণে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত এলডিসি দেশের সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এরপর আর এলডিসির সুযোগ থাকছে না। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে সরকারী ব্যয় বাড়িয়ে টাকার অঙ্কে রেকর্ড বাজেট ঘোষণা করা হয়। প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বাজেটে দেশ ও জাতির উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাধিকার পাচ্ছে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষ-প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং তাদের জীবন। এরপরও সুসংহতভাবে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার উন্নয়ন রূপরেখা প্রণয়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেশের উত্তরণ ঘটেছে। এরই হাত ধরে বিশ্ব সভায় বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়। এমনিভাবে অর্জিত হবে চার স্বপ্ন-২০৩০, ২০৩১, ২০৪১ এবং ২১০০ সালসহ সকল স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
উল্লেখ্য, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি অর্জন করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে এমডিজির মতো এবার এসডিজি অর্জনে দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলা করে ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ। ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ হবে। এছাড়া ২০১৩ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন পূরণের কথা জানিয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমাজের প্রশংসা ও সম্মান কুড়িয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন সাধন করা। ২০৩১ সালে মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়া এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, করোনা মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করেছে সরকার। দেশের প্রতিটি মানুষ সরকারী সহায়তায় করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। করোনা সংক্রমণরোধ এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে ভারত, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আমদানি করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। টিকা কিনতে ওই প্রকল্পে বিদেশী সহায়তা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে টিকাসহ করোনা মোকাবেলায় আরও ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রেখেছে। বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্র তাদের জনগণকে টিকা দিতে ব্যর্থ হলেও ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানে সক্ষমতা অর্জনে বিশ্বে কয়েকটি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম আলোচিত হচ্ছে। আর এ কারণে বিশ্বের বড় বড় দেশ ও উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগ নিয়ে এদেশে আসার স্বপ্ন দেখছেন।
বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে এখন সেখানকার গার্মেন্টস খাতের বিনিয়োগকারীরা আবার বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। এছাড়া ভিয়েতনামে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে সেখান থেকেও বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে বাংলাদেশ চলে আসছেন। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ রফতানি ও রেমিটেন্স অর্জনে ভাল করছে। বিশেষ করে মিয়ানমার, ভিয়েতনামসহ অন্য দেশ থেকে এখন বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসছেন। তিনি বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনসহ বাংলাদেশের সামনে যেসব লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সফল হওয়া যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণসহ সরকার সামনে যেসব ভিশন রয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়ে পূরণ হবে বলে প্রস্তাবিত বাজেটে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। গত ২০১৩ সালে নির্বাচনী ইশতেহার ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। এতে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের পর্যায় পেরিয়ে শান্তিপূর্ণ, সুখী-সমৃদ্ধ এক উন্নত জনপদে পরিণত করা হবে। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘রূপকল্প-২০২১’ শিরোনামে ইশতেহার প্রকাশ করেছিল। এছাড়া পরিবর্তনশীল বিশ্বে সমতা ও বৈষম্যহীন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ছয় বছর আগে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) স্থির করার পর যে তিনটি দেশ তাদের আগের অবস্থান থেকে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করতে পেরেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। সম্প্রতি জাতিসংঘের সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক ২০২১ সালের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতেই উঠে এসেছে এ চিত্র। এবারের এসডিজি সূচকে বিশ্বের ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। চার বছর আগে ২০১৭ সালের সূচকে ১৫৭টি দেশের মধ্যে ১২০তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের পর থেকে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোই এসব লক্ষ্য পূরণের পথে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে। আর ২০১৫ সালের পর থেকে এসডিজি সূচকে স্কোরের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে বাংলাদেশ, কোত দি ভোয়া (আইভরি কোস্ট) এবং আফগানিস্তান।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় অনুমোদিত হয়েছে ‘রূপকল্প ২০৪১, বাস্তবে রূপায়ণ-বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আগামী দুই দশকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)’-এর গড় প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯.০২ শতাংশ হারে। প্রবৃদ্ধির এ পথ ধরে ২০৩১ সালের বাংলাদেশ হবে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ। তখন মাথাপিছু জাতীয় আয় হবে ৩,২৭১ ডলার। আর ২০৪১ সালের বাংলাদেশে সম্ভাব্য জনসংখ্যা হবে একুশ কোটি তিন লাখ। যাদের মাথাপিছু আয় হবে ন্যূনতম ১২ হাজার ৫০০ ডলার। চরম দরিদ্র লোক, যাদের দৈনিক আয় থাকবে ২.১৬ ডলারের কম এমন লোকের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে ০.৬৮ শতাংশে। আর দরিদ্র লোক, যাদের দৈনিক আয় থাকবে ৩.২০ ডলার, এমন লোকের সংখ্যা হবে ২.৫৯ শতাংশ। আপাতভাবে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করা। এ প্রসঙ্গে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমান সরকারের দীর্ঘকালীন একটি রূপকল্প (ভিশন) আছে। সেটি কমপক্ষে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। সেই ভিশন প্রশ্নাতীতভাবে উচ্চাভিলাষী, তবে সবচেয়ে কাক্সিক্ষত। উন্নত দেশ কে না হতে চায়! আমরা সবাই চাই, বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে, অবকাঠামোর উন্নতি হবে। তিনি বলেন, দেশের কর-জিডিপির হার এখন যেখানে আছে, এভাবে থাকলে লক্ষ্য অর্জন হবে না। তাই সরকারকে সবার আগে কর আদায়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। এই খাতেই আমাদের সবচেয়ে বেশি দুর্বলতা রয়েছে। কারণ, গত ১০ বছরে কর-জিডিপির হার ১ শতাংশও বাড়েনি। কিন্তু কর-জিডিপির হার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে আমাদের কমপক্ষে ২৫ শতাংশে নিতে হবে। কর আদায় কম হলে আমাদের পক্ষে এসডিজির লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে না।
এলডিসি থেকে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় অর্থায়ন। তবে আশার কথা হলো, বাজেটে বিদেশী সহায়তা প্রতিবছর বাড়ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ৯০ হাজার কোটি টাকার বিদেশী সহায়তা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া অবকাঠামো খাতে টাকা খরচের সক্ষমতা বাড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশন অর্থায়নের হিসাবটি করে দেখেছে এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে আগামী ১৩ বছরে ৫ লাখ কোটি ডলার খরচ করতে হবে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জিইডির সদস্য শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেসরকারী খাতনির্ভর তাই এসডিজির অর্থায়নের জন্য বেসরকারী খাতকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সরকার বেসরকারী বিনিয়োগের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এছাড়া এসডিজি অর্থায়নে বেসরকারী খাতের ওপরেই ভরসা রাখতে চায় সরকার। পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসডিজির প্রায় ৪২ শতাংশই আসবে বেসরকারী খাত থেকে। সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ থেকে আসবে আরও প্রায় ১০ শতাংশ। এই দুটি উপখাতই বেসরকারী বিনিয়োগ। এসডিজি অর্জনের জন্য মোট খরচের সাড়ে ৩৩ শতাংশের জোগান দেবে সরকার নিজের উৎস থেকে। আর বিদেশী সহায়তা ও অনুদান বাবদ আসবে আরও প্রায় ৫ শতাংশের মতো। সরকারের নিজের অংশ এবং বিদেশী সহায়তার টাকা প্রতিবছর বাজেটের মাধ্যমে খরচ করা হবে। এছাড়া উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার উদ্যোগ রয়েছে।