কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসন্ন ঈদে ভারত থেকে কোরবানির পশু আসা ঠেকাতে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা যাওয়ায় কোন অবস্থাতেই যেন ভারত থেকে মানুষ এবং পশু না আসে সে জন্য নিজ নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাইকরণ এবং বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আমাদের দেশের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে দেশে অনেক পশু আসে এবং মানুষ যাতায়াত করে। ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আমাদের দেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাট বসানোর জন্য গতবছর গণমাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এ বছরও এটি করা হবে। সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও অন্য প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচার চালাবে। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নিয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী দেশ হওয়ায় আমাদের দেশেও কিছু কিছু এলাকায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে। তাই এ বছর সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই পশুর হাট বসানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ পশুর হাট বসানোর জন্য এবং পশু জবাইয়ের জন্য যে স্থান নির্ধারণ করবেন শুধু সেখানেই হাট বসতে হবে। এর বাইরে কোরবানির পশুর হাট ও পশু জবাই করতে দেয়া হবে না। শহর-নগর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ এলাকায় সবার জন্য সুবিধামতো জায়গায় গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রী বলেন, অনেক জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক ও রেল লাইনের ওপর কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়। কর্তৃপক্ষ এসব জায়গায় হাট বসানোর ইজারা দেয় না। কিন্তু অবৈধভাবে এসব জায়গায় পশুর হাট বসানো হয়। রাস্তার ওপর পশুর হাট বসানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রোডস এ্যান্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরাসহ সবার সমন্বিত উদ্যোগে এটি বন্ধ করতে হবে। যেখানে সেখানে হাট বসতে দেয়া যাবে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, কোরবানি দেয়ার পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পৌর মেয়র, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সব জনপ্রতিনিধি নিজ নিজ উদ্যোগে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করবেন।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও তথ্য সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।