৩ আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসন্ন তিন সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থীদের জন্য যোগ্যতা-অযোগ্যতার একটি নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে কারা প্রার্থী হতে পারবেন তা বলা হয়েছে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে ঢাকা-১৫, কুমিল্লা-৫ ও সিলেট-৩ আসনের ভোট পিছিয়ে ২৮ জুলাই নির্ধারণ করেছে ইসি।
তফসিল অনুযায়ী আসনগুলোতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ১৫ জুন, মনোয়নপত্র বাছাই ১৬ জুন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ২৩ জুন। আর প্রতীক বরাদ্দ ২৪ জুন।
প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়গুলো মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় যাচাই করে নেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আদালত থেকে কোনো ব্যক্তি যদি ’অপ্রকৃতিস্থ’ বলে ঘোষিত হন, তবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার যোগ্য-অযোগ্যতার বিধানে এমনটিই বলা হয়েছে সংবিধানেও। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের দফা ১ ও ২ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং ২৫ বছর বয়স হলে সংসদের সদস্য নির্বাচিত হতে এবং সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন। এটিকে যোগ্যতা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
আবার এই যোগ্যতা থাকলেও অন্য কারণে একজন ব্যক্তি অযোগ্য হতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনো উপযুক্ত আদালত থেকে তিনি অপ্রকৃতিস্থ হিসেবে ঘোষিত হলে, দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যহতি না পেলে, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে তা অযোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে। তবে পরবর্তীতে যদি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন কিংবা পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, তবে অযোগ্য হবেন না।
কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড পেলে, কারাভোগের পর ৫ বছর সময় অতিবাহিত না হলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। এছাড়া ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীনে যে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হয়ে থাকলে এবং প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে আসীন থাকলেও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হতে হবে।
ঢাকা-১৪ আসন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আসলামুল হকের ঢাকা-১৪ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর একটি অভিজাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আসলামুল হক ২০০৮ সালের নবম সংসদ এবং ২০১৪ সালের দশম সংসদেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। মৃত্যুকালীন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন আসলামুল হক।
কুমিল্লা-৫ আসন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু মৃত্যুবরণ করায় তার কুমিল্লা-৫ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। গত ১৪ এপ্রিল অপরাহ্নে মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের কুমিল্লা-৫ আসনটি ওই তারিখে শূন্য হয়েছে।
সিলেট-৩ আসন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ মৃত্যুবরণ করায় সিলেট-৩ আসনটি ১১ মার্চ শূন্য হয়। গত ১১ মার্চ মাহমুদ সামাদ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নবম ও দশম সংসদেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।