কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা মহামারির মধ্যে দেশে আসা প্রবাসীদের সৌদি আরব যাওয়ার পর নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থাকার নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার। অনেক প্রবাসী কর্মীর এত টাকা খরচ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকার সামর্থ্য নেই। ফলে অনেকেই ধারদেনা করে সৌদিগামী বিমানের টিকিট কাটলেও কোয়ারেন্টাইনের খরচ নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এবার এই কর্মীদের পাশে দাঁড়াল সরকার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইন পালন করা প্রবাসীদের ২৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই টাকা প্রবাসীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
রবিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সহকারী সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ রোধে সৌদি আরব সরকার নির্দেশনা অনুযায়ী গত মাসের ২০ তারিখ থেকে জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী ছুটিতে দেশে এসেছিলেন তাদের সবাইকে ছুটি শেষে সৌদি ফেরত যাওয়ার পরে নিজে খরচে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে। যারা কোয়ারেন্টাইন পালন করবেন তাদেরকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে প্রত্যেক কর্মীকে ২৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেয়া হবে। এই ভর্তুকির টাকা প্রত্যেক কর্মীর মনোনীত প্রতিনিধির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হবে।
যেভাবে পাওয়া যাবে ভর্তুকির টাকা
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দেয়া ভর্তুকির টাকা পেতে হলে জমা দিতে হবে আবেদন। এজন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.probashi.gov.bd অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইট www.wewb.gov.bd অথবা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র ওয়েবসাইট www.bmet.gov.bd থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকেও আদেনপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
এরপর সেই আবেদনপত্রের সঙ্গে কয়েকটি কাগজপত্রসহ সোমবার (৭ জুন) থেকে ফ্লাইটের দিন বহির্গমনের পূর্বে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে জমা দিতে হবে।
ভর্তুকি পেতে যেসব কাগজ জমা দিতে হবে
সৌদিগামী প্রবাসী কর্মীদের কোয়ারেন্টাইন খরচের ভর্তুকি পেতে আবেদনের সঙ্গে কয়েকটি কাগজ জমা দিতে হবে। সেগুলো হলো- জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে দেয়া স্মার্টকার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্টের প্রথম চার পৃষ্ঠার ফটোকপি, পাসপোর্টের সাথে সংযুক্ত ভিসার ফটোকপি, টিকেটের ফটোকপি ও হোটেল বুকিংয়ের ডকুমেন্টের ফটোকপি।
এছাড়া যেসব প্রবাসী কর্মী দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে কর্মস্থলে চলে গেছেন বা সে দেশে কোয়ারেন্টাইন পালন করছেন তারা একই নিয়মে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সৌদি আরবে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস, রিয়াদ অথবা বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দায় ডাক মারফত জমা দিতে পারবেন।