বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন কেন হবে না

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাদের সরাসরি নিয়োগের আগে শূন্য পদের বিপরীতে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন না করার নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে’র সচিব, এনটিআরসি’র চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা’র ১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রয়োজনবোধে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলির করতে পারবে। স্কুল ও কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় ভিন্ন ভিন্নভাবে এক ও অভিন্ন অনুচ্ছেদে এমপিওভুক্ত শিক্ষক, কর্মচারীদের প্রয়োজনবোধে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলির করতে পারবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু বিগত ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৮, ও ২০২১ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা প্রণয়ন করলেও এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি, তাই ১৩০ এমপিওভুক্ত শিক্ষক আদালতে রিট করেন।