তাক্বদীর ঈমানের পরিপূরক

17

॥ মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান ॥

(পূর্ব প্রকাশের পর)
এটাই তার সারা জীবনের ভাগ্যলিপি। হাদীছের শেষাংশে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, কোন লোক সারা জীবন জান্নাতের কাজ করে শেষে তার ভাগ্য তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। কারণ মানুষ ভালো কাজ করে অনেক ক্ষেত্রে সে অহংকারী হয়ে যায়। যেমন সে চিন্তা করে, আমি এত ভাল কাজ করছি, আমি জান্নাতে যাব না তবে কে যাবে? অথবা তার ভাল কাজের দ্বারা তার সম্মান ও খ্যাতি অর্জন লক্ষ্য ছিল ইত্যাদি। এরূপ বহু কাজের ফলে তার আমলগুলো নষ্ট হয়ে সে জাহান্নামে চলে যাবে। আর অপর ব্যক্তি সারা জীবন খারাপ কাজ করেছে। কিন্তু জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তার অনুভূতি জাগে, সে তওবা করে। সব অন্যায় কাজ পরিহার করে ও আল্লাহর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করতে থাকে। ফলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাই সর্বাবস্থায় বান্দার জ্ঞান থাকতে হবে কিসে তার আমল নষ্ট হয়, কিসে তার আমলের নেকী বৃদ্ধি পায়। নচেৎ শিরক করে জীবনের সমস্ত আমল বরবাদ করে দিবে সামান্য কথা ও কাজের মাধ্যমে।
ভাগ্যের চতুর্থ স্তর হল বার্ষিক ভাগ্য : বৎসরের নির্দিষ্ট এমন কোন সময় আছে যখন আল্লাহ এ বৎসরের পরিকল্পনা ফেরেশতাদের কাছে প্রদান করেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা একে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাত্রে। নিশ্চয়ই আমরা সতর্ককারী। এ রাতে প্রতিটি প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থির করা হয়েছে। আমাদের আদেশক্রমে আমরাই প্রেরণকারী’ (দুখান ৪৪/৩-৫)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বিশিষ্ট ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, ওটা হচ্ছে কুরআন অবতরণের রাত। ঐ রাত্রে সৃষ্টি সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত দেয়া হয় লাওহে মাহফূযে রক্ষিত মূল গ্রন্থ থেকে আগামী এক বৎসরের ঘটিতব্য বিষয়। অর্থাৎ এ বছর শবে ক্বদর হ’তে। আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সকল ফায়ছালা এ রাত্রিতে সংশ্লিষ্ট ফেরেশতাগণের কাছে অর্পণ করা হয়। যা আল্লাহ তা’আলা মানুষ জন্মের পূর্বে লাওহে মাহফূযে লিখে রেখেছেন। এ রাত্রিতে এগুলো স্থির করার অর্থ এই যে, ফেশেতাগণের মাধ্যমে তাক্বদীর প্রয়োগ করা হয়, তাদের কাছে এ রাত্রে অর্পণ করা হয় (কুরতবী, দুখান ৪ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
ভাগ্যের পঞ্চম স্তর হল দৈনিক ভাগ্য :মহান আল্লাহ বলেন, ‘আকাশ সমূহে ও পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই আল্লাহর কাছে প্রার্থী। তিনি প্রত্যহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত’ (আর-রহমান ৫৫/২৯)।তাফসীরে ইবনে কাছীরে ‘শান’-এর ব্যাখায় বলেন, আল্লাহর শান হল যে তাঁকে ডাকবে তার ডাকে সাড়া দেওয়া, যে তাঁর কাছে চায় তাকে দান করা। অভাবগ্রস্তের অভাব দূর করা। গুনাহগার ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করা। সমস্ত যমীনবাসী ও আকাশবাসীর প্রতিদিনের প্রয়োজন পূরণ করা। ইবনে জারীরের বরাতে ইবনে কাছীর বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন। তখন ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! এ শান কি? তিনি বললেন, গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করা, দুঃখ-কষ্ট দূর করা, মানুষের উন্নতি অবনতি করা। ইবনে কাছীর আরও বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস বলেন, আল্লাহ তা‘আলা লাওহে মাহফূযকে সাদা মূর্তি দ্বারা বানিয়েছেন তার দু’পাশ লাল ইয়াকূত পাথরের, তার কলম নূরের, তার দৈর্ঘ্য আকাশ ও যমীনের সমান, প্রতিদিন তিনশত ষাট বার দৃষ্টিপাত করেন। প্রতি দৃষ্টিপাতে তিনি নতুন সৃষ্টি করেন এবং জীবিত করেন ও মৃত্যু দান করেন। আর সম্মান দেন ও লাঞ্ছিত করেন এবং যা ইচ্ছা তিনি তা করতে পারেন। (তাফসীর ইবনে কাছীর, সূরা কাফ ২৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)।আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশ যখন বাকী থাকে তখন আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশে নেমে এসে বলেন, কে আমাকে ডাকে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আমার কাছে চায় আমি তাকে দান করব? কে আমার কাছে ক্ষমা চায় আমি তাকে ক্ষমা করব’।সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ বান্দার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য বান্দার অভিযোগ পুরা করেন। ফলে কারো রূযী বেড়ে যায় কারো রূযী কমে যায়। কারো হায়াত বৃদ্ধি পায়, কারো কমে যায়। কেউ তওবা করে পাপের পথ পরিহার করে। এসব কাজ প্রতি দিনের ভাগ্যের অন্তর্ভুক্ত।
তাক্বদীর বিরোধী কিছু কাজ ও উক্তি :মানুষ বিভিন্ন সময় তাক্বদীর বিরোধী কাজ করে বা কথা বলে থাকে। তা জ্ঞাতসারেও হয়। যা মারাত্মক গুনাহের কাজ। হিংসা করা প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কৃত ভাগ্যের বিরুদ্ধে আপত্তি করা। কারণ হিংসুক ব্যক্তি আল্লাহর সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারে না। তাই সে বলে থাকে অমুক ব্যক্তিকে দেয়া হয়েছে অথচ সে এটার যোগ্য নয়। অমুককে বঞ্চিত করা হয়েছে অথচ সে এটার যোগ্য ছিল। এ কথা বলার ফলে হিংসুক ব্যক্তি আল্লাহর সৃষ্টি কৌশল ও তাঁর নির্ধারিত তাক্বদীরের সিদ্ধান্তকে ভুল মনে করে। তাই পূর্ণাঙ্গ ঈমানের দাবী হচ্ছে হিংসা পরিহার করে সমস্ত ব্যাপারে আল্লাহর নির্ধারিত ভাগ্যকে বিশ্বাস করে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়া। আল্লাহ সকলের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন। তিনি যাকে চান দান করেন, যাকে চান তার রহমত থেকে বঞ্চিত করেন। অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তির মৃত্যুর সংবাদ শুনে একথা বলা যে লোকটি অকালে মারা গেল। এরূপ বলাও ভুল। কারণ তার জন্য আল্লাহর নির্ধারিত বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ যেটা নিয়ে যান সেটা তার আর যেটা দেন সেটাও তার। সুতরাং আল্লাহ নির্ধারিত ভাগ্যে বিশ্বাস করা যরূরী। আর গণকদের নিকট গিয়ে ভাগ্যের বিষয় জানার এবং ভবিষ্যতের খবরাখবর জানার চেষ্টা করা, তাদেরকে সত্যবাদী মনে করা তাক্বদীরে বিশ্বাসের বিপরীত।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,‘যে ব্যক্তি গণকের নিকট যায় আর সে যা বলে তা বিশ্বাস করে তার চল্লিশ দিনের ছালাত ক্ববূল হবে না’।অনিচ্ছাকৃত কোন ভুল এবং ইচ্ছাকৃত অন্যায়ের জন্য ভাগ্যের দোহাই দেয়া সম্পর্কে ইমাম ইবনে তায়মিয়া (রহঃ) বলেন, সৌভাগ্যবান দোষের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং বিপদে ধৈর্য ধারণ করে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘অতএব তুমি ছবর কর, নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আর তুমি স্বীয় অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর’ (মুমিন ৪০/৫৫)। আর হতভাগা ব্যক্তি বিপদের সময় অধৈর্য হয় এবং ভাগ্যের দোহাই দিয়ে তা ঢাকার চেষ্টা করে।আল্লাহর আইন ভঙ্গকারী পাপী বান্দার বিরুদ্ধে আল্লাহর শাস্তিমূলক কোন সিদ্ধান্ত মানুষ জানতে পারে না যতক্ষণ সে শাস্তি তার উপর কার্যকর না হয়। তাই আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। স্বয়ং রাসূল (সাঃ) আল্লাহর কাছে এই বলে দো‘আ করতেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছ তার কুফল থেকে আমাকে বাঁচাও’। তিনি উম্মতকে এভাবে দো‘আ শিক্ষা দিয়েছেন যে, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করে বল, হে আল্লাহ! তোমার কাছে আশ্রয় কামনা করছি বিপদের কঠোরতা থেকে ও দুর্ভাগ্যের ধর-পাকড় থেকে এবং আল্লাহর সিদ্ধান্তের অনিষ্ট থেকে। আর শত্রুদের খুশি হওয়া থেকে’।মানুষ জ্ঞাতসারে অন্যায় করুক অথবা অজ্ঞাতসারে, তার ঐ অন্যায়ের জন্য অল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে কান্নাকাটি করতে হবে। কিন্তু তা না করে ভাগ্যের দোহাই দিয়ে বেপরওয়া আচরণ করলে আল্লাহর ক্রোধে পড়তে হবে। জ্ঞাতসারে যে গুনাহ করবে সেটাতো মারাত্মক পাপ। কিন্তু বান্দা অপরাধ করার পর তার মধ্যে যখন অনুশোচনা আসে তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।
তাক্বদীর অস্বীকারকারীদের যুক্তি খন্ডন : কুরআন ও সুন্নাহ প্রমাণ করে তাক্বদীরের উপর বিশ্বাস ঈমানের রুকনসমূহের অন্তর্ভুক্ত এবং দ্বীনের মূলনীতির অন্যতম। এটাই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত-এর আক্বীদা। এ থেকে বিচ্যুত হয়েছে ক্বাদারিয়া ও জাবারিয়ারা। এই দল দু’টি পরস্পর বিরোধী। ক্বাদারিয়ারা বান্দার বাসনা, ইচ্ছা ও জবাবদিহিতা প্রমাণকারী দলীলসমূহ প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করেছে। বস্তুতঃ তাদের এ কাজ সঠিক। কিন্তু তারা তাক্বদীরকে ও তাক্বদীর প্রমাণকারী দলীল সমূহকে অস্বীকার করেছে। জাবরিয়ারা তাদের মোকাবিলা করেছে উল্টোভাবে, তাক্বদীর প্রমাণ করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং তাতে বাড়াবাড়িও করেছে। ফলে মানুষকে সকল কর্মের ব্যাপারে তারা অপারগ জ্ঞান করে। তারা কাদারিয়াদের সকল দলীল অস্বীকার করে।
কাদারিয়াদের বিশ্বাসের খন্ডন : ছহীহ মুসলিমের প্রথম হাদীছের ভূমিকায় ইমাম মুসলিম বছরার একজন ব্যক্তিকে তাক্বদীরের ব্যাপারে প্রথম পথভ্রষ্ট হিসাবে উল্লেখ করেন। তার নাম মু‘আয আল-জুহানী। তার থেকেই প্রথম এই বিভ্রান্তি শুরু হয়ে যুগে যুগে নানা গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়, যারা তাক্বদীর সম্বন্ধে নিজেদের ইচ্ছামত ব্যাখ্যা প্রদান করে। যেমন মু‘তাযিলা, জাহমিয়াহ ও আশ‘আরিয়া সম্প্রদায়। ক্বাদারিয়ারা তাক্বদীরে বিশ্বাস করে না। তারা বলে, মানুষ তার ভাগ্য নিজেই সৃষ্টি করে। মানুষ কাজ করার পূর্বে তার ভাগ্য সম্বন্ধে কোন কিছু লিখা হয় না। কাজের পরও কিছু লিখা হয় না। বিভিন্নভাবে কাদারিয়াদের বিশ্বাস খন্ডন করা যায়।
আল-কুরআনে তাক্বদীরের প্রমাণ : তাক্বদীরে বিশ্বাসের প্রমাণে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আমরা সবকিছু সৃষ্টি করেছি পরিমিতভাবে’ (ক্বামার ৫৪/৪৯)। আল্লাহ আরও বলেন, ‘তিনি সমস্ত বস্তু সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে যথাযথ পরিমিতি দান করেছেন’ (ফুরক্বান ২৫/২)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, ‘তুমি কি জান না যে, আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহ জানেন। সবই লিপিবদ্ধ আছে এক কিতাবে। আর এটা আল্লাহর নিকটে খুবই সহজ’ (হজ্ব ২২/৭০)। তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীতে অথবা তোমাদের নিজেদের উপর এমন কোন মুছীবত আসে না যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ করে রাখি না, এটা করা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ। এটা এজন্য যে, তোমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেজন্য তোমরা যেন হাতাশাগ্রস্ত না হও। আর তোমাদেরকে যা দান করা হয়েছে তার জন্য তোমরা যেন উৎফুল্য না হও। কেননা আল্লাহ অহংকারী ও গর্বকারীকে পসন্দ করেন না’ (হাদীদ ৫৭/২২-২৩)। আল্লাহ আরও বলেন, ‘সবকিছুই আমরা স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষণ করে রেখেছি’ (ইয়াসীন ৩৬/২১)। তিনি আরও বলেন,‘আর গায়েবের চাবিকাঠি তাঁর কাছেই রয়েছে। তিনি ব্যতীত কেউই তা জানে না। স্থলভাগে ও সমুদ্রভাগে যা কিছু আছে, সবই তিনি জানেন। গাছের একটি পাতা ঝরলেও তা তিনি জানেন। মাটিতে লুক্কায়িত এমন কোন শস্যদানা নেই বা সেখানে পতিত এমন কোন সরস বা শুষ্ক ফল নেই, যা (আল্লাহর) সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ নেই’ (আন‘আম ৬/৫৯)।
হাদীছে তাক্বদীরের প্রমাণ : রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বলেন, ‘যা কিছু তোমার পাবার তা সব লিখে কলম শুকিয়ে গেছে’। অন্যত্র রাসূল (সাঃ) বলেন,‘তোমাদের প্রত্যেকের ঠিকানা লেখা হয়ে গিয়েছে, হয় তা জাহান্নামে অথবা জান্নাতে। (একথা শুনে) এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! তবে কি আমরা তাক্বদীরের উপর ভরসা করব না? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, না, আমল করতে থাক। প্রত্যেককে তা-ই সহজ করে দেয়া হবে, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পরে এ আয়াত তেলাওয়াত করেন, ‘অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করে ও আল্লাহকে ভয় করে আমি তার জন্য সহজ পথে চলা সহজ করে দিব। আর যে ব্যক্তি কৃপণতা করে বেপরওয়া হয়। আর যা উত্তম তা অমান্য করে আমি তার জন্য কঠিন পথ সহজ করে দিব’।অন্য হাদীছে এসেছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘মানুষের মানত মানার কারণে তার ভাগ্যে যা নির্ধারিত নেই তা সে পাবে না। বরং যা তার ভাগ্যে আছে তাই হবে। তবে মানতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু মাল বের করা হয় মাত্র’। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন ‘প্রত্যেক বস্তু নির্ধারিত ভাগ্যানুযায়ী হয়ে থাকে। এমনকি অক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তাও’। (অসমাপ্ত)