বাবুনগরী-মামুনুল হক সহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, অনুসন্ধানে দুদক

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির নেতা জুনাইদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকসহ অর্ধশত নেতার বিরুদ্ধে সংগঠনের তহবিল আত্মসাৎ ও ‘সুনির্দিষ্ট’ দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক পরিচালক মো. আকতার হোসেন আজাদকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, হেফাজতের বিষয়ে আমরা ছয় সদস্যের একটা কমিটি করে দিয়েছি। তারা আলোচনা করে দেখছে। আমাদের কাছে তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ আছে।
তদন্তের প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে জানিয়ে জহুরুল হক বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে যাকে যখন দরকার তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। আইনে ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা বলে আছে, এই আইনে যা আছে সেভাবে তদন্ত কাজ শেষ করা হবে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে লকডাউনের চলায় তদন্তে কোনো প্রতিবন্ধকতা হলে কমিশন প্রয়োজনে তাদের ডাকতে পরে জানান তিনি। ছয় সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্যরা হলেন- কমিশনের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও মো. সাইদুজ্জামান এবং উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিলে হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, মহাসচিব নূর হুসাইন কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ কেন্দ্রীয় ও সংগঠনের বিভিন্ন জেলার ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য যাচাই করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সেখানে তাদের হিসাবে গড়মিল পাওয়া যায়। যার একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন ইতোমধ্যে দুদকে পাঠানো হয়েছে। সেটি আমলে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এদিকে ইতোমধ্যে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সংগঠনটির ৩১৩ জন দাতার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংগঠনটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবেও ছয় কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।