অদেখা ফাউন্ডেশনের আয়োজনের মনজিল নামের একটি প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কতোয়ালপুর গ্রামে মনজিল প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সঙ্গিত শিল্পী হেরল্ড রশিদ চৌধুরী ও অদেখা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য খালেদা বেগম।
বিশ^শিল্পী, কবি ও অদেখা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুমন আহমদের শেকড় সন্ধানী মনোভাব ও অকৃত্রিম দেশ প্রেম থেকে প্রতিফলিত চিন্তা চেতনার ফসল এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সাড়া জাগিয়েছে কতোয়ালপুর সহ সিলেটের মানুষের মনে। প্রদর্শনীটি সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তাতে জীবনের নানা দিক নিয়ে ধারণ করা ফটোগ্রাফী, মিক্স মিডিয়া, চারুকলা, ভিডিওচিত্র, প্রমাণ্য চিত্র, চিত্রকর্ম, দেশীয় শিল্পের পরিচিতি, সাহিত্য, ফ্যাশন, গ্রামীন জীবনযাত্রার চিত্র সহ রূপসী বাংলার মুখ।
বিশ^শিল্পী, কবি সুমন আহমদ বলেন, নিজের ঘরের খুঁজে সারাজীবন ঘুরে ঘুরে তিনি এখন তার মনজিলে ফিরে এসেছেন। মা, মাটি ও মানুষের সানিধ্যে এসে নিজেকে বেশ আলোকিত মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানরা উন্নত বিশে^ বসবাস করে নিজের গ্রাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তা দুঃখজনক। তাই শেকড়ের টানে যখন আমি আমার গ্রামে ফিরে আসি তখন উপলব্ধি করি যে আমার নিজের জন্য আমার গ্রামের মানুষের জন্য কিছু একটা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গ্রামের ভাই-বোনদের নিয়ে শিল্প, সাহিত, খেলাধুলার চর্চা সহ তাদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যেতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা বাংলার বিলুপ্ত প্রায় ধানের বীজ সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এখন মনজিল প্রতিষ্ঠা করে আমরা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রতিভা, সম্পদ প্রকৃতি ইত্যাদি তুলে ধরতে চাই। শিল্প, সাহিত্য, গবেষণা সবই হবে এই মনজিলে। আমরা বিশে^র দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। আমাদের কতোয়ালপুর এখন থেকে দেশীয় ঐতিহ্য লালনের কেন্দুবিন্দুতে পরিণত হবে। মনজিল হবে আমাদের সকলের জন্য একটি বাতিঘর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অদেখা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রানী ফেরদৌস। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রায়না রোকীনা ভ্যান, মেহেদী হাসান খান, অদেখা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শামীম আহমদ, ফারুক হোসেন খান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি