নগরীতে করোনায় স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, ঈদের কেনাকাটায় শপিংমলে উপচে পড়া ভিড়

7
সিলেটে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। করোনার এই সময়ে কোন স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। রাত ১০টার পরেও দোকান খোলা রাখছেন, মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি। ছবিটি নগরীর হাসান মার্কেট থেকে তোলা। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিট-১৯) স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আসন্ন ঈদুল ফিতরের কেনাকাটায় নগরীর শপিংমল ও বিপণীবিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। আর এই ঈদের কেনাকাটায় পুরুষের চেয়ে নারীরা এগিয়ে রয়েজেন।
এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাবে প্রায় ৩ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সিলেটসহ সারাদেশে শপিং মল ও দোকানপাট খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার শর্ত দেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি আইন মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। নগরীর প্রতিটি শপিংমল ও দোকানপাটে মানুষের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে লঙ্ঘিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনার সংক্রমণের আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। অপরদিকে নগরীতে সকাল ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাবেচার সময়ে শপিংমলে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে।
ক্রেতারা বলেছেন, তারা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। কিন্ত বাজারে অস্বাভাবিক ভিড় থাকায় তা মানা যাচ্ছেনা। অন্যদিকে অধিকাংশ বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের পাশাপাশি মাস্ক পরিধান না করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে নগরীর, কাপড়, কসমেটিকস ও জুতার দোকানগুলোতে প্রচন্ড ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতাদের অনেকে একে অপরের সাথে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন। এছাড়া বেশিরভাগ দোকানেই বিক্রেতাদের মাস্ক ও গ্লাভস নেই। কেউ মাস্ক পরলেও তা নাক ও মুখের বাইরে থুতনিতেই ঝুলিয়ে রাখছেন।
এক ক্রেতা জানালেন, বাজারে মানুষের ভিড় আর গরমে কেনাকাটা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। সবাই মাস্ক কিংবা স্যানিটাইজার করছেন না। এমন হলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। করোনা সংক্রমন থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিত।
নগরীর হাসান মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বললেন, লকডাউনের কারণে এমনিতেই গত বছর থেকে লোকসান গুনে আসছেন। এজন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তিনি জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছেন। ক্রেতাদেরও উৎসাহিত করেন তা মানার জন্য। তবে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবসায়ীকে সচেতন হতে হবে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলেও নগরীর কয়েকটি শপিংমল ও দোকানসমূহে এসবের বালাই ছিলনা। শপিংমল ও মার্কেটের সামনে রাখা ছিলনা স্যানিটাইজার কিংবা হাত ধোয়ার সাবানের ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের কারণে ইতোমধ্যে দেশের একাধিক পুরো শপিংমল বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।