কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিদেশ ফেরতদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছিল সরকার। তবে বিদেশ ফেরতদের চাপ সামলাতে না পেরে কোয়ারেন্টিনের সময় ১৪ দিনের বদলে ৩ দিন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, তবে যাদের করোনার দুটি ভ্যাকসিন নেওয়া আছে এবং করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট আছে, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা লাগবে না। তারা বাড়িতে গিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। স্থানীয় প্রশাসন তা নিশ্চিত করবে।
এ সময় আরও সিদ্ধান্ত হয়, যাদের করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নেওয়া আছে এবং করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট রয়েছে, তাদের ৩ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে। তাদের দেশে প্রবেশের পর করোনা টেস্ট করানো হবে। তাতে নেগেটিভ রিপোর্ট এলে বাকি ১১ দিন বাড়িতে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
একইসঙ্গে যাদের করোনার টিকা নেওয়া নেই কিন্তু করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট রয়েছে, তাদের ৩ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে। তাদের দেশে প্রবেশের পর করোনা টেস্ট করানো হবে। তাতে নেগেটিভ রিপোর্ট এলে বাকি ১১ দিন বাড়িতে গিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউন চলাকালে বিশেষ ফ্লাইটে ফিরতি বাংলাদেশিদের সংখ্যা ধারণার তুলনায় অধিক হওয়ায় বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এসব সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে কেবিনেট সচিবের সভাপতিত্বে সভায় কোয়ারেন্টিন কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।’