সিলেটে ১০দিনেও জ্ঞান ফিরেনি অপহৃত মোটর সাইকল রাইডার গোলাম কিবরিয়া রাজুর। চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে। এঘটনায় এসএসমপি’র মোগলাবাজার থানায় রাজুর বড় ভাই গিয়াস আহমদ বাদী হয়ে ১০ এপ্রিল একটি মামলা {নং-০৭(৪)২১} করেছেন। মামলায় রাজুর প্রেমিকা খালেদা আক্তার সহ কয়েকজনকে সন্দিগ্ধ আসামী করা হয়েছে। তবে অদ্যাবধি পুলিশ সন্দেহভাজন কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অপহৃত রাজু সিলেট নগরের উত্তর বালুচর আল-ইসলাহ ১৮/২ এর মৃত আকদ্দছ আলীর পুত্র। তার মূল বাড়ি বিয়ানী বাজার উপজেলার ঢারখখাই আদিনাবাদ কাপন গ্রামে। নগরীর উত্তর বালুচর বোনের বাসায় থেকে মোটর সাইকেল রাইডারের কাজ করতো।
জানা গেছে- মোটর সাইকেল রাইডার গোলাম কিবরিয়া রাজু বৃহস্পতিবার (৮এপ্রিল) মোটর বাইক নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেন নি। রাত ১০টার দিকে তাকে মোটরবাইকসহ কদমতলী হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকায় কেউ কেউ দেখতে পান বলে তার ভাই গিয়াস জানান। ওই দিন রাত ১১টার পরে তার কোন হদিস মিলেনি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকাল পৌণে ৮টার দিকে এসএমপির মোগলাবাজার থানাধীন গফুরগাঁও এলাকার একটি যাত্রী ছাউনী থেকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। এসময় তার সাথে থাকা মোটর বাইক,মোবাইল ফোন ও টাকা কিছুই পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে স্বজনরা ওসমানীতে গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন। পরে তাকে নগরীর উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রবিবার (১২ এপ্রিল) তাকে ফের ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকেই রাজু ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার জ্ঞান ফিরেনি। মামলার বাদী গিয়াস উদ্দিন জানান- তার ভাই গোলাম কিবরিয়া রাজুর সাথে এক বছর পূর্ব থেকে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মকবুলাবাদ গ্রামের ফারুক মিয়ার মেয়ে খালেদা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের অসম্মতিতে খালেদা রাজুকে বিয়েও করে ফেলে। কিন্তু স্বজনরা রাজুর সাথে খালেদাকে ঘর সংসার করতে দেননি। উল্টো খালেদাকে তালাক দেওয়ার জন্য রাজুর উপর চাপ অব্যাহত রেখে আসছে।
বাদী গিয়াস আহমদের ধারনা রাজুর প্রেমিকা খালেদা আক্তার, খালেদার ভাই লিটন মিয়া, সম্পর্কের ভাই আব্দুল কাদির পিয়া ও আব্দুল মালিক মিলে রাজুকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে মোটর সাইকেল মোবাইলফোন ও টাকাকড়ি রেখে মারপিট করে মৃত ভেবে তাকে যাত্রী ছাউনিতে ফেলে চলে যায়।
মোগলাবাজার থানার ওসি শামসুদ্দোহা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আহতের অবস্থা পর্যবেক্ষণে রেখে সন্দেহভাজন আসামীদের প্রতি পুলিশী নজরদারি অব্যাহত রেয়েছে। (খবর সংবাদদাতার)