তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত উভয় পক্ষের ১৫ জনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের আমির আলী ও একই গ্রামের উমর আলীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে উমর আলীর বাতিজা শিমুল মিয়া ও আমির আলীর চাচাতো ভাই হাবিব মিয়ার মধ্যে পাটলাই নদীতে নৌকার মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি প্রথমে স্থানীয়রা মিমাংসা করে দেন। সন্ধ্যায় এ বিষয়টিকেই কেন্দ্র করে আবার বালিয়াঘাট নতুন বাজারে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এরই জের ধরে বুধবার সকালে উভয়ই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বালিয়াঘাট গ্রামের সামনে ফের ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এতে উভয়ই পক্ষের প্রায় ২০জন আহত হয়। আমির আলীর পক্ষের আহতরা হলেন, জসিম মিয়া (২৬), আলাউদ্দিন (৩০),আবুল হোসেন (৩৫), অজুদ মিয়া (৩২), কাসেম মিয়া (২৭),আব্দুল্লাহ (২০), আশিকনুর (৩৮),আফল আলী (২৭), উমর আলীর পক্ষের আহতরা হলেন, তারাব আলী (৪৫), শিমুল মিয়া (২১), শিরিন মিয়া(৪৫), আলাউদ্দিন (৪০), জাফর আলী (৩০), শহিদ মিয়া (২৫), সাইবুল (৩৫), হাবিবুর (৩০)।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এখনও থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।