জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কে এম আযম খসরু বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতি এই কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম লাভ করে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্র। আর আমরা ফিরে পাই স্বাধীনতা। সেই থেকেই আমরা স্বাধীনভাবে চলছি। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সংগ্রামমুখর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব আমরা একসঙ্গে পালন করছি। ঐতিহাসিক এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দেশের মানুষকে ভালবাসি, সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশি ভালোবাসি। জাতির পিতা কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষকে আরো বেশি ভালবাসতেন। তিনি আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তেমনি তিনি ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর’ জন্য ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হাতে হাত রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আর সবার মনে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ধারণ ও লালন করে সাজাতে হবে সোনার বাংলা।
তিনি বুধবার (৩১ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান আকন্দ, মো. শাহাব উদ্দিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান, শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক মো. শহীদ ডাকুয়া, ক্র্যাফট ফেডারেশন বিষয়ক সম্পাদক বখতিয়ার খান।
মাওলানা সালাউদ্দিন আকরামের পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও প্রণথ কান্ত দেবের গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সিলেট মহানগর শ্রমিক লীগ ও ২৭টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন বেসিক ইউনিয়ন সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি