মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। পরে সেখানে তার জোহরের নামাজ আদায় করেন।
জেলার কুলাউড়া উপজেলার পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর এলাকায় কয়েকঘণ্টা মৌলভীবাজার সিলেট সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ। সকালে জুগিডহর এলাকায় হরতালের সমর্থনে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। বিকেলে মৌলভীবাজার টু শ্রীমঙ্গল সড়ক অবরোধ করে জামেয়া শেখবাড়ি মাদ্রাসার ছাত্ররা।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দুপুর ১টার দিকে হাজিপুর ইউনিয়নের কটারকোনা বাজার এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কটারকোনা বাজার এলাকায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা হরতালের মিছিল নিয়ে বের হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় জানান, হরতালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুরো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলো মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে পুলিশ। টহল দিচ্ছে রাব। যান চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক রয়েছে। বড়লেখায় বিক্ষোভ করলে পুলিশ বাধা দেয়।
মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল বারি বলেন, মানুষ সেচ্ছায় ঘর থেকে বের হচ্ছে না। গাড়ি বের করছে না। সবাই হরতালের সমর্থনে রয়েছে। আমরা মহাসড়ক অবরোধ করেছি। পুলিশ এসে বাধা দেয়নি। আজ সারাদিন আমরা মাঠে থাকবো।
পরে শহরের কুসুমবাগ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সারা শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে কুসুমবাগে সমাবেশ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আহমদ বিল্লালসহ অনেকে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, মৌলভীবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কুলাউড়ায় কিছু লোক জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ পরে অবস্থা নেয়। সাড়া জেলায় ৪৫০জন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশ ও থানাগুলো তো আছেই। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলার আন্ত: বাস যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।