ঈদের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবো – প্রধানমন্ত্রী

10
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রান্তে যুক্ত হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের কথা পুর্নব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেবো।
রবিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় (ভার্চ্যুয়ালি) একথা বলেন তিনি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছে দেবো এবং সেটা দেওয়ার মতো দক্ষতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। সেটা অর্জন করেছে বলেই আজ সারা বিশ্ব বাংলাদেশের জনগণকে সম্মানিত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক দূর যেতে হবে, আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ, আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ, আজ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন।
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল খুলতে চেয়েছিলাম, এখন আবার করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়াতে আমরা ঠিক এখন না খুলে রোজার পরে, ঈদের পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবো।
করোনা মহামারির প্রকোপ বাড়ার কথা উল্লেখ করে সবাইকে সর্তক এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যেহেতু করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব আবার দেখা গেছে এবং এই ভাইরাসটাও আবার ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এসেছে, আমাদের ঠিক আগের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। এই প্রার্দুভাব কতদিন থাকবে আমরা এখনো জানি না। তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি আমাদের থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আবারো করোনাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগসহ প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বলবো যখন করোনা ভাইরাস প্রচণ্ড মহামারি আকার ধারণ করলো সে সময় যেভাবে মানুষের পাশে আপনারা দাঁড়িয়েছিলেন আবারও করোনার একটা ধাক্কা আসছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি।
‘এখন আমাদের সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। করোনা ভাইরাসে যেন মানুষের কষ্ট না হয়। একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। আপনাদের এখন থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা শুভেচ্ছা জানিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটাই হচ্ছে স্বার্থকতা।
শুভেচ্ছা বার্তাগুলো তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সভায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ প্রান্তে আওয়ামী লীগের অন্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন।