ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে রেলওয়ে বিভাগের নির্বাহী প্রকেীশলীর দপ্তরে অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছেন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি। রেল মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন-৪) মীর আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত টিম বৃহস্পতিবার সরজমিনে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। সম্প্রতি ছাতক থেকে রেলওয়ে শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মরত প্রধান সহকারীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে রেলওয়ে সিআরবি পূর্বাঞ্চাল চট্টগ্রাম বলাবরে দেয়া একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। তদন্ত টিমের অপর দু’জন হলেন, ঢাকা রেল ভবনের পরিচালক (পরিবহন) শফিকুর রহমান ও উপ-পরিচালক (ভূ-সম্পত্তি) আবিদুর রহমান।
অভিযোগ ও সূত্রে জানা যায়, ছাতক রেলওয়ের নির্বাহী প্রকেীশলী দপ্তরের প্রধান সহকারী সুরঞ্জন পুরকাস্থের সহযোগিতায় দপ্তরে ১০টি মঞ্জুরীকৃত খালাসী পদে লোকবল থাকার পরও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন উপ- সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল নুরের পুত্র ভারপ্রাপ্ত মোটর ড্রাইভার মাহবুবুর আলম ও কন্যা খালাসী সুর্বণা আক্তারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা ওই পদের বিপরীতে কোন কাজ না করলেও তাদের নিয়মিত বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। এছাড়াও সুরঞ্জন পুরকায়স্থ, আব্দুল নুরের যোগসাজসে রেলওয়ের কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ কোয়ারীর বালু-পাথর বিক্রি, রেলওয়ে বাসা-বাড়ি ও সুরমা নদীর তীর সংলগ্ন রেলওয়ের ভূমি ডাম্পিং সাইড হিসেবে ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-সচিব মীর আলমগীর হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।