কমলগঞ্জে সিএনজি চালক নিহতের ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা

13

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমসেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে তুচ্ছ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাতে ছুরিকাঘাতে সিএনজি চালক জলিল মিয়ার নিহতের ঘটনায় শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফিসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে এ মামলাটি করেন।
এদিকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেলে মরদেহ আলীনগর গ্রামে পৌঁছলে রাত সাড়ে ৮টায় নামাজে জানাযা সম্পন্ন করে জলিল মিয়াকে দাফন করা হয়। নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে নিহত সিএনজি চালককে খুনের ঘটনায় শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সরেজমিন ঘটনাস্থল শমসেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া নিহতের বাড়ি গিয়ে শোক সন্তপ্ত পরিবার সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণে পুলিশি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। শুক্রবার রাতে নিহত সিএনজি অটোর চালক জলিল মিয়ার বড় ভাই খলিল মিয়া বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া এবং তার পরিবারের আরো ২ সদস্যসহ ৫ জন এবং আরও ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, এ ঘটনায় শনিবার সকালে পুলিশ সুপার সরেজমিন পরিদর্শন, মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নিহতের বাড়িতে যাবার সত্যতাও নিশ্চিত করেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার, রাতে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আগে গ্যাস ফিলিং করতে কারের লাইনে চলে যায় সিএনজি অটো চালক জলিল মিয়া। এ নিয়ে গ্যাস ভরতে আসা কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফির সাথে ও তার চালক হামিদ মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় অটো চালক জলিলকে উপর্যুপরিভাবে ছুরিকাঘাত করলে রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জলিলকে মৃত ঘোষনা করেন।