কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগষ্ট ঘটানোর যে ইঙ্গিতপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ। এতে বিএনপির ফ্যাসিবাদী মানসিকতা, ষড়যন্ত্র এবং খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে এর কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হয়নি৷ তহলে কি ধরে নেব, এটি বিএনপির দলীয় বক্তব্য?
জনগণ আশা করে, বিএনপি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবে। ১৫ ও ২১ আগস্ট একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা৷ বিএনপি নেতার এ বক্তব্যে তাদের খুনের রাজনীতির স্বরুপ উন্মোচিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এ বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশ-বিদেশে বিস্তৃত৷ তাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে। এরই মধ্যে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ এ বক্তব্য প্রত্যাহারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে, আশা করছি, কেন্দ্রীয় বিএনপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
সরকার নির্বাচিত নয়, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে- বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এমন হুমকি-ধামকি আমরা বছরের পর বছর শুনেছি, তাদের আন্দোলন এবং সরকার পতনের ঘোষণার একযুগ পূর্তি হয়ে গেছে এরই মধ্যে৷ জনগণ এখনো কোনো আন্দোলন দেখতে পায়নি রাজপথে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি করেছিলো৷ এখনো তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে। বিএনপি নেতারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অন্ধ বিরোধিতা করছে, আইনটির যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটছে কিনা, সে বিষয়টির প্রতি সরকার কড়া নজর রাখছে৷ প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে, আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সে বিষয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা। বিএনপি এখন এ আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে, অথচ ১৯৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতার খুনিদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।