কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বড়বন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্তকার্য শুরু করেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বড়বন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকে তদন্ত কমিটির সভাপতি কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফয়জুর আহমেদুজ্জামান খান সহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি এলাকাবাসীর উপস্থিত সিএইচসিপি আফতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত করেন। জানা যায় বড়বন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আফতাব উদ্দিন তার দায়িত্ব পালনে অনিয়মিত থেকে ক্লিনিকের বরাদ্দকৃত ঔষধ আগত রোগীদের মাঝে সরবরাহ না করে বড়বন্দ বাজারস্থ নিজ ফার্মেসীতে বিক্রি করে থাকেন। এমনকি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটি তিনি নিজের ইচ্ছা মতো সাজিয়েছেন। তারা নিয়মিত কোন ধরনের সভা করেননি। এছাড়াও কমিটিতে একই পরিবারের একাধিক সদস্যও রয়েছেন। তিনি নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছেন। তার এসব কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সিলেট সিভিল সার্জন বরাবরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়জুর আহমেদুজ্জামান খান সহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে আফতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকালে এলাকাবাসীর পক্ষে লিয়াকত আলী, কামাল উদ্দিন, জহির উদ্দিন, মনির উদ্দিন, বিলাল আহমদ, আশরাফ সিদ্দিকী সহ বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন ক্লিনিকের সিএইচসিপি আফতাব উদ্দিন নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেননি এমনকি সরকারি ঔষধ তিনি আগত রোগিদের না দিয়ে তার নিজস্ব ফার্মেসীতে বিক্রি করে থাকেন। তারা অভিলম্বে আফতাব উদ্দিনের অপসারনের দাবী জানিয়েছেন। এদিকে কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি আব্দুর রহিম মেম্বার জানিয়েছেন তাদেরকে যে কোন কাজে অবগত না করে আফতাব উদ্দিন তার মনগড়া ভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করে যাচ্ছেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এব্যাপারে সিএইচসিপি আফতাব উদ্দিনের কাছে তা জানতে চাইলে তিনি নিজেকে নিদোর্ষ দাবী করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তদন্ত কমিটির সভাপতি কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়জুর আহমেদুজ্জামান খান জানান তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তারা আফতাব উদ্দিন সহ এলাকাবাসীর লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন।