শ্রীমঙ্গল থেকে সংবাদদাতা :
রেস্ট হাউসে রাত কাটানো দম্পতিকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা চালিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন এ দম্পতি। রাতযাপনে উঠেছিলেন উপজেলার মৌলভীবাজার সড়কের তামিম রিসোর্ট নামের এক রেস্ট হাউসে। রিসোর্টের দুই কর্মচারী টিস্যু বক্সের ভেতরে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ধারণ করে একসময় তাদের ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা চালায় ওই দুই কর্মচারী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, পুলিশ তাদের পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুজন হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার চড়িপারা এলাকার আবুল কালামের ছেলে রেজোয়ান (২৩) ও শহরের বিরাইমপুর এলাকার মৃত শফিক মিয়ার ছেলে খালেদ মিয়া (২৭)।
শ্রীমঙ্গল থানাপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ জুলাই কুলাউড়া থেকে শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসেন এক দম্পতি। রাতযাপনে তারা উঠেন উপজেলার মৌলভীবাজার সড়কের পাশে অবস্থিত তামিম রিসোর্ট নামের রেস্ট হাউসে। কিন্তু ওই রেস্ট হাউসের দুই কর্মচারী টিস্যু বক্সের ভেতরে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করে দম্পতির শারীরিক মেলামেশার দৃশ্য ধারণ করে। ঘটনার কিছু দিন পর রিয়াজউদ্দিনকে ইমু নাম্বারে একটি মোবাইল ফোন থেকে কল করে জানায়, তাদের মেলামেশার ছবি ও ভিডিও আছে এবং এ বিষয়ে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়।
তারপর গত বছরের ২১ অক্টোবর নাদিরা আক্তার রুমি নামে একটা ফেক আইডি থেকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে রিয়াজউদ্দিনের কাছে তাদের গোপন মেলামেশার ছবি পাঠায়। পরে ওই নাম্বার থেকে বাদির ইমু নাম্বারে কল করে হুমকি দিয়ে জানায়, এই ছবি ও ভিডিও ফেরত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা তাদের দিতে হবে। যদি টাকা দেওয়া না হয়, তা হলে তাদের এই ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
বাদির কাছ থেকে টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে তারা ফেসবুকে তাদের বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের কমেন্ট ও ম্যাসেঞ্জারে তাদের নোংরা ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে থাকে। অবশেষে নিরুপায় হয়ে এই দম্পতি শ্রীমঙ্গল থানাপুলিশের শরণাপন্ন হন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দ্রুত এ ঘটনায় জড়িত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে পুলিশ। যার মধ্যে দম্পতির শারীরিক মেলামেশার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে আসামিরা তাদের অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে।