কাজিরবাজার ডেস্ক :
মোদি সরকারের নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল দিল্লি। এদিন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসেই কৃষকদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ, ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস।
এ সহিংসতায় ট্রাক্টর উল্টে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন ওই ব্যক্তি।
বিজেপি সরকারের নতুন ‘বাজারবান্ধব’ তিনটি আইনের বিরুদ্ধে ভারতের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘ এই কৃষক আন্দোলন চলছে প্রায় দুই মাস ধরে।
সমালোচনার মুখে সরকার পক্ষ আপাতত আইনগুলো স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে কৃষকদের দাবি একটাই, সরাসরি আইন বাতিল ছাড়া কোনো কথা নেই।
এ নিয়ে কয়েক দফা আলোচনার পর দিল্লি পুলিশ মঙ্গলবারের সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল। তবে শর্ত ছিল, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কোনোভাবেই বিঘ্ন ঘটানো যাবে না।
দিল্লির ছয়টি প্রবেশপথ থেকে কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা ছিল কৃষকদের। কিন্তু পুলিশ এর সবগুলো অবরোধ করে নতুন একটি রুট ঠিক করে দেয়।
তবে মঙ্গলবার সিংঘু, টিকরি ও গাজিপুর এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ট্রাক্টর নিয়ে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে একদল বিক্ষোভকারী মুঘল শাসকদের তৈরি ঐতিহাসিক লাল কেল্লা কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং স্তম্ভ বেয়ে উঠে শিখদের প্রতীক খালসা পতাকা টাঙিয়ে দেয়। তবে বিক্ষোভকারীরা ভারতের জাতীয় পতাকায় হাত দেয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
জানা গেছে, সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। দিল্লিতে আরও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিংঘু, গাজিপুর, তিকরি, মুকারবা চৌক, নানগ্লোইসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।