বড়লেখায় গৃহকর্ত্রীকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার টাকা-পয়সা লুট, কথিত গৃহকর্মী উধাও

29

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখার সুজানগর ইউপির বড়থল গ্রামের আমেরিকা ফেরৎ বৃদ্ধার বাড়িতে গৃহকর্মী সেজে ঢুকার এক সপ্তাহের মাথায় বৃদ্ধাকে চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করে স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে পালিয়েছে প্রতারক গৃহকর্মী। গত ৩ দিন ধরে আহত বৃদ্ধা হাজেরা বেগম (৭৬) সিলেটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারী নিজেকে মরিয়ম (জয়নব) পরিচয়দানকারী ষাটোর্ধ মহিলা উপজেলার বড়থল গ্রামের আমেরিকা ফেরৎ বৃদ্ধা হাজেরা বেগমের বাড়িতে নিজের অসহায়েত্বর কথা বলে গৃহকর্মীর চাকরী চায়। বৃদ্ধা হাজেরা বেগম প্রায় ৫ বছর ধরে দেশে বসবাস করলেও তার ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে আমেরিকায় রয়েছেন। অপর ছেলে সেলিম আহমদ স্ত্রী-সন্তানসহ বড়থল গ্রামে বসত বাড়িতে থাকেন। তার সাথে বৃদ্ধা হাজেরা বেগমও বসবাস করেন। জুড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা এলাকায় বাড়ি থাকলেও স্বামী-সন্তান কেউ নেই বলায় সেলিম ও তার বৃদ্ধা মায়ের দয়া হয়। কথিত নারীকে ঘরের কাজের জন্য রেখে দেন। গত শুক্রবার বিকেলে সেলিম আহমদ বৃদ্ধা মা ও কাজের মহিলাকে বাড়িতে রেখে স্ত্রী-সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলায় যান। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে মাকে অজ্ঞান পড়ে থাকতে দেখেন। ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো ও কথিত কাজের মহিলাকে খোঁজে পাননি। খোঁজ নিয়ে দেখেন মায়ের শরীরে থাকা ও ঘরের বিভিন্ন আলমারীতে থাকা প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, টাকাসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে কথিত কাজের মহিলা পালিয়ে গেছে।
সেলিম আহমদ জানান, তার মায়ের অবস্থা আশংকাজনক। ভাবতেও পারেননি এভাবে ভুয়া নাম-ঠিকানা বলে অনুনয়-বিনয় করে ঘরে প্রবেশ করে সুযোগ বুঝে সবকিছু নিয়ে উধাও হবে। চিকিৎসকরা বলছেন তার মায়ের শরীরে উচ্চ মাত্রার চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে। সিলেটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের আইসিইউতে মায়ের চিকিৎসা চলছে। এব্যাপারে তিনি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বড়লেখা থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, এ ধরনের একটি ঘটনার খবর পেয়েছেন। তবে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। এব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।