কাজিরবাজার ডেস্ক :
মহামারি করোনার প্রতিষেধক হিসেবে টিকা নেয়ার পক্ষে বিপক্ষে যখন দেশে তুমুল আলোচনা তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, কাউকে জোর করে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে না। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও টিকা স্বাধীনভাবে নেবে।
রবিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের (টিকা) বিষয়ে অনেক কথাবার্তা আসে, আমরা জানি। একটা কথা আমরা স্পষ্ট বলতে চাচ্ছি, ভ্যাকসিন নেয়াটা মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। বাংলাদেশে কাউকে ভ্যাকসিন জোর করে প্রয়োগ করা হবে না। ভ্যাকসিন স্বাধীনভাবে নেবে। বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই একই অবস্থা।’
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলছেন। প্রত্যেকটি ভ্যাকসিনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। ওষুধেরও থাকে। অনেক ওষুধ আছে অনেকের স্যুট করে না, এলার্জি হয়। এই ওষুধের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না এটা আমরা বলতে পারি না। তবে যতুটুকু শুনেছি, এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব সামান্য। একটু মাথাব্যথা হয় বা জ্বর হয়।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের কাছে যে ভ্যাকসিন আছে, সেটা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আবিষ্কার করেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানি এই ভ্যাকসিনের মালিক, ভারতে শুধু এটার উৎপাদন হচ্ছে। তাদের উৎপাদন করার বড় একটি সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন দেশে এই ভ্যাকসিনটি ওখান (ভারত) থেকে পাঠানো হচ্ছে।’
ভারতে ইতিমধ্যে লাখ লাখ মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউকেতেও (যুক্তরাজ্য) অনেক লোককে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরাও এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের জন্য আমাদের অর্থের প্রয়োজন হবে। আনন্দের বিষয় হলো বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা প্রত্যেকেই আবার প্রস্তাব দিয়েছে ভ্যাকসিন কেনার জন্য তারা অর্থায়ন করতে চায়। সেটা প্রায় ১.৮ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ তারা আমাদের অফার করেছে। এখন বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত তারা কতটুকু গ্রহণ করবে বা করবে না।’