দেশে ভেজাল লবণ ব্যবসা রোধে সরকার আইন প্রস্তুত করছে, যাতে লবণ উৎপাদনে এবং ভেজাল লবণ বাজারজাত করণে জেল-জরিমানার নির্দেশ আসছে। যা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হবে।
মানব জীবনে ভোজ্য ও প্রাণী খাদ্যের মধ্যে লবণের প্রয়োজনীয়তা খুবই বেশি, লবণ ব্যতিত কোনো জিনিস খাওয়া দুষ্কর। তাই আমরা প্রতিনিয়ত যে লবণ খাচ্ছি, তা কতটুকু সঠিক স্বাস্থ্য সম্মত তা একবার ও ভেবে দেখিনি। বাজারজাত লবণের মধ্যে কতটুকু আয়োডিন প্রয়োজন এবং মানুষ ও প্রাণী ভোজ্য খাবার প্রয়োজনীয় আয়োডিন যুক্ত আছে কি-না তা‘ মানুষ ও প্রাণীর ক্ষতিকারক কি-না এ বিষয়ে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
দেশের মানুষের জন্য ভোজ্য ও প্রাণী খাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত লবণে প্রয়োজনীয় আয়োডিন না থাকলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘আয়োডিন যুক্ত লবণ বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
উল্লেখ্য ১৯৮৯ সালে আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন রহিত করে নতুন আইন করা হচ্ছে। যা‘ মানুষের জন্য ভোজ্য এবং প্রাণীখাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত আয়োডিন না থাকলে আইনত; দন্ডের ব্যবস্থা করা হবে।
তবে লবণ আমদানি, উৎপাদন, গুদামজাত, প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিশোধন করতে এ আইনের অধীনে নিবন্ধন করতে হবে, নিবন্ধন না থাকলে ২ বছরের জেল, ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে; মানুষের ভোজ্য প্রাণি খাদ্য লবণের প্রধান উপাদান পটাশিয়াম, আয়োডিনের দাম কমলেও আমাদের প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত লবণে পরিমান মতো আয়োডিন যুক্ত স্বাস্থ্য সম্মত ব্যবহার হচ্ছে কি? বর্তমানে বাজার জুড়ে নানান ধরনের রং বেরংয়ের প্যাকেট করে বিক্রি করা হচ্ছে, এ বৈধ-অবৈধ বিভিন্ন নামে বেনামে লবণের ব্যবহারে ক্রেতা সাধারন প্রতারিত হচ্ছে। বাজারে হাজারো ধরনের লবণ ব্যবসায়ীদের কারণে আজ যেভাবে লবণ নিয়ে জালিয়াতি পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে লবণ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে নানা-ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগতে হচ্ছে। প্রতারক লবণ ব্যবসায়ীদের হাত থেকে জন-ভোগান্তি দূরীকরণে সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় ।
তাই সার্বজনীন আয়োডিন যুক্ত লবণ তৈরি করে জন-স্বাস্থ্য রক্ষায় উত্তম পদক্ষেপ বলে সচেতন মহল মনে করেন।