হাজার হাজার মানুষ পেলো “স্বপ্ননীড়ের” চাবি

18
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় সিলেট জেলায় ভূমিহীন এক হাজার ৪০৬ জনের হাতে সরকারের স্বপ্ননীড়ের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট সদর উপজেলার হল রুমে ভূমিহীনদের হাতে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দিচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

স্টাফ রিপোর্টার :
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ন্যায় সিলেট বিভাগেও ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং দেশের ৪৯২ উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হন। সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ঘর সরবরাহের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই বাড়িগুলো নির্মাণ করে সরকার। এটি এমন এক পদক্ষেপ যা প্রথমবারের মতো দেখল বিশ্ব।
সিলেট জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে শনিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ১ হাজার ৪০৬ জনের হাতে সরকারের স্বপ্ননীড়ের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেট জেলায় ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার। প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি ঘরে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর ও একটি বাথরুম রাখা হচ্ছে। শনিবার সিলেট সদরে ১৪৪টি, দক্ষিণ সুরমায় ১২০, বিশ্বনাথে ৬৬৯, ওসমানীনগরে ৫৩৩, বালাগঞ্জে ৮৭৫, বিয়ানীবাজারে ১০৪, গোলাপগঞ্জে ২০০, ফেঞ্চুগঞ্জে ১৩০, গোয়াইনঘাটে ৫০০, কানাইঘাটে ১৯৩, জৈন্তাপুরে ৩৩০, জকিগঞ্জে ১৩০ এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ২৫০টি নির্মাণকৃত ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ কানাইঘাটে ১৯৩টি ভূমিহীন পরিবারকে জমি সহ ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করছেন জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।

সিলেট বিভাগীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেটে জমি নাই, ঘর নাই এমন ‘ক শ্রেণির’ লোকজনকে প্রায় ১০ হাজার ৩১৩টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকারের খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। সঙ্গে আরো পাবেন নগদ ৪ হাজার টাকা করে। সে হিসেবে ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারের পেছনে সরকারের বরাদ্দ এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ফলে ১০ সহস্রাধিক পরিবারে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ১৮০ কোটি ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
এদিকে সিলেটের বিভিন্ন জেলা- উপজেলা থেকে সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর থেকে জানা যায় :-
জামালগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৫ পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ ঘরের চাবি ও কবুলতনামা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ভাষণের পর চাবি ও কবুলতনামা সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বীনা রানী তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী রাজু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেদুয়ানুল হালিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. এরশাদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আশরাফুজ্জামান, বেহেলী ইউপি চেয়ারম্যান অসীম তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীকান্ত তালুকদার প্রমুখ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু তালুকদার, জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষণ চক্রবর্ত্তী, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, সহ সভাপতি অঞ্জন পুরকায়স্থ, সমবায় কর্মকর্তা আবু তাহের তালুকদার প্রমুখ।
কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সারাদেশের ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে জমি সহ ঘর প্রদানের শুভ উদ্বোধনের পর কানাইঘাট উপজেলার ১৯৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের ঘর, জমি ও দলিলসহ যাবতীয় কাগজ প্রদান করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অডিটোরিয়ামে উৎসব মুখর পরিবেশে রাজনৈতিক মহল, সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধীজনদের স্বত:স্ফূর্ত উপস্থিতিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উপকার ভোগীদের মাঝে তাদের ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সর্ব প্রথম ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য উদ্যোগ নেন। ১৫ আগষ্টে কালো রাত্রিতে তিনি শাহাদত বরণ করায় সে উদ্যোগ থেমে যায়। জাতির পিতার জন্ম শতবর্ষে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অসম্ভবকে সম্ভব করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা গড়তে সারাদেশে আজ ভূমিহীন ৬৭ হাজার পরিবারকে জমি সহ ঘর প্রদান করছেন যা বিশে^র ইতিহাসে বিরল। এই মহতি কর্মকান্ড বাস্তবায়নে রাজনৈতিক মহল, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি সহ যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। সেই সাথে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, সিলেট জেলায় আরো যারা ভূমিহীন রয়েছেন তাদের এ বছর জমি সহ ঘর প্রদান করা হবে তাদের সঠিক তালিকা তৈরী করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জির সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সুলতানার পরিচালনায় জমি সহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন চৌধুরী, কানাইঘাট সার্কেলের পুলিশের এএসপি আব্দুল করিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভপপতি লুৎফুর রহমান, পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এমএ হান্নান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাজুল ইসলাম পিপিএম, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, উপকার ভোগীরা। এ সময় ভূমিহীন উপকার ভোগীরা জমি সহ পাকা ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এমন মহতি উদ্যোগ গ্রহন করায় সারা দেশের ভূমিহীন পরিবারগুলি ঘর ও জমি পেয়ে সুখ-শান্তিতে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন।
আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে জানিয়েছেন : ছাতকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন ১০ পরিবারকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেমিপাকা ঘর প্রদান করা হয়েছে। শনিবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহহীন উপকারভোগী পরিবারের সদস্যদের হাতে ঘরের কাগজ-পত্র তোলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান। দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান অনুষ্ঠান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভাচুর্য়াল উদ্বোধন শেষে এসব পরিবারকে ঘরের কাগজপত্র বুজিয়ে দেয়া হয়। উপকোরভোগীরা হলেন, উপজেলা জাউয়াবাজার ইউনিয়নের লক্ষমসোম গ্রামের সবুজ মিয়া, সেবুল মিয়া, মৃত ইরফান আলীর পুত্র গিয়াস উদ্দিন, তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, সাদাত আলীর পুত্র মাসুক মিয়া, আব্দুল বারীর স্ত্রী মায়ারুন নেছা, নবী হেসেনের পুত্র জইন উদ্দিন, ওয়াহাব আলীর পুত্র রুমান মিয়া ও লোকমান মিয়া।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলার বুকে এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যা জনম জন্মান্তর এদেশের মানুষ স্মরণ রাখবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী রাজীব মোস্তফা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা মশিউর রহমান, সাংবাদিক সৈয়দ হারুন-অর রশীদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, আমার বাড়ি আমার খামার কর্মকর্তা জুলকার নাইন, ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ হোসন প্রমুখ।
দোয়ারাবাজার থেকে জানিয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ ও জমি প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল দশটায় দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপজেলার ১০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে গৃহ ও জমি প্রদান করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সুধীজন এসব পরিবারকে পাকা ঘরের মালিকানা ও দলিলপত্র বুঝিয়ে দেন। ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা, দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা শাহীন আহমেদ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন কুমার সানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সফর আলী, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি তাজির উদ্দিন মেম্বার, দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শের মাহমুদ ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের সিএ সফিক রহমান, উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো পেয়ার আহমেদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব এনামুল কবির মুন্না প্রমুখসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জান্য বরাদ্দকৃত ২৬০টি ঘরের মধ্যে ১০টি ঘর আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরো প্রস্তুতকৃত ৬০টি ঘর হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাকি অন্যান্য ঘরের কাজ চলমান রয়েছে।
জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার। এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৩টি পরিবার নতুন ঘর পেয়েছেন। ২৩ জানুয়ারি শনিবার একযোগে সারাদেশের ন্যায় জগন্নাথপুরে ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে গরীব মানুষের স্বপ্নের ঘর প্রদান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।