নির্বাচনে গন্ডগোল হলে দায় ওবায়দুল কাদেরের – কাদের মির্জা

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চতুর্থবারের মতো মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের দিন কোনো গন্ডগোল হলে এর প্রথম দায় নিতে হবে এ এলাকার সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদেরকে। এরপর নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন ও পরে ডিসি-এসপি আর নির্বাচন অফিসারকে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে এক কর্মিসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ভোটকে বিতর্কিত করার নানা ধরনের অপতৎপরতা চলছে। ইতোমধ্যে এলাকায় অস্ত্রশস্ত্র আনা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ডা. মিলনকে হত্যা করে জাসদ আন্দোলনকে যেমনি চাঙ্গা করেছিল, তেমনি এখানেও আওয়ামী লীগ-বিএনপি অথবা জামায়াতের কাউকে হত্যা করে শান্ত পরিবেশ অশান্ত করে ভোটকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, “ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে ‘আইচালি-বাইচালি’ করার দরকার নেই। আমি নেতা, এরকম ভাব দেখানোর দরকার নেই। নিজে ভোট দিয়ে শুধু কীভাবে ভোটাররা ভোট দিতে আসতে পারে, সে চেষ্টা করতে হবে। কোথায় কোনো সমস্যা হলে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত না হয়ে আমাকে জানাবেন। আমি সেটির বিচার করব।”
কর্মিসভায় দলের কয়েকজন নেতার সমালোচনা করেন এই মেয়রপ্রার্থী। তিনি বলেন, তারা বলে আমি তাদের সমালোচনা করি কিন্তু আমি যে সবসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও ভালো অর্জনের কথা বলি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কথা বলি, সেগুলো তারা বলে না।
‘আমাদের দলের কিছু নেতা আছে যারা টাকা খেয়ে এমন প্রার্থী নমিনেশন দেয় যারা এলাকায় ১৬ ভোটের বেশি পায় না। এমন ধরনের অপরাজনীতি বন্ধ করতে হবে আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারা তা সম্ভব।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারও সমালোচনা করেন আবদুল কাদের মির্জা। বলেন, ‘তিনি তো ঘরে ঢুকে গেছেন। তার ছেলে তারেক রহমান চাকরি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যসহ যত অপকর্ম করেছেন, আমাদের দলের অনেকেই তার মতো করছেন। তারেক রহমান দেশের কী পরিবর্তন আনবেন?’
তিনি বলেন, আমি ইচ্ছা করলে নির্বাচনী প্রচারণায় আমার গাড়িতে লাগানো মাইকে আমার কথা বলতে পারতাম কিন্তু আমি তা না করে মুক্তিযুদ্ধের গানগুলো বাজাই। কারণ এ গান যতবার শুনি ততবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হই।
কর্মিসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।