ওপেন ডেটা সহায়ক

11

জনতার সরকার ওপেন ডেটা নামে একটি অত্যাধুনিক এ্যাপস তৈরি করেছে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এই এ্যাপস তৈরিতে দেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলেজেন্স। উল্লেখ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো মানুষের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও প্রযুক্তির একটি সমন্বয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা, যার বহুল ব্যবহার হচ্ছে বর্তমান বিশ্বে। মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কম্পিউটারের মাধ্যমে অনুকৃত করার চেষ্টা চলছে নিরন্তর। অধুনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিণত হয়েছে একটি একাডেমিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও। এর মাধ্যমে যন্ত্রও যেমনÑ রোবট কিংবা কম্পিউটার মানুষের মতো ভাল-মন্দের চিন্তা করে সঠিক ও যথাযথ সিদ্ধান্ত এবং কর্মপদ্ধতি বাছাই করতে সক্ষম হয়ে ওঠে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অত্যাধুনিক এই এ্যাপসের মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য মাধ্যমে আজগুবি তথ্য তথা গুজব, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, তথ্যসন্ত্রাস, সর্বোপরি উস্কানিদাতা, সহিংসতা ও জঙ্গীবাদ ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্তদের বিরুদ্ধে। তাদের ওপর নজরদারি চালানোসহ প্রয়োজনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে নেয়া হবে যথাযথ ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, বর্তমান বিশ্বে শত শত কোটি ব্যক্তি মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসএ্যাপ, ইউচ্যাট, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে মুহূর্তের মধ্যে। ফলে তথ্য আদান-প্রদানও সম্ভব হচ্ছে অতিসহজেই এবং অনেক ক্ষেত্রে বিনামূল্যে। প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের তথ্যপ্রাপ্তি একেবারেই সহজসাধ্য এবং হাতের মুঠোয় সম্ভব বলে অনেক সময়ে তথ্যের সত্যাসত্য যাচাইয়ের সক্ষমতা থাকে না অনেকের। ফলে একইসঙ্গে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার, বিভ্রান্তি এমনকি উস্কানি ছড়ানো সম্ভব হচ্ছেও। এর মাধ্যমে ছড়াচ্ছে জঙ্গি মতবাদ এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমও।
আশার কথা এই যে, দেশের মাটিতে জঙ্গীবাদ কখনই শিকড় গেড়ে বসতে পারেনি এবং জনসমর্থন পায়নি। ফলে দেশী-বিদেশী গডফাদারসহ আন্তর্জাতিক সহায়তায় সময়ে সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হলেও ব্যর্থ হয়েছে চূড়ান্তভাবে। স্থানীয় জঙ্গীদের বিদেশী কানেকশনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। তবে এতে আত্মপ্রসাদের কিছু নেই। দেশীয় জঙ্গিদের অস্ত্র ও অর্থের উৎসসহ উৎসাহদাতা, মদদদাতাসহ আন্তর্জাতিক যোগাযোগের বিষয়টি প্রতিনিয়ত নজরদারির দাবি রাখে। জঙ্গি সন্ত্রাসীরা শুধু অস্ত্র ও বোমাই নয়, প্রযুক্তি ব্যবহারেও অত্যন্ত দক্ষ। সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে টেক্কা দিতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সর্বদাই সতর্ক ও তৎপর হতে হবে। সর্বোপরি সর্বস্তরে সর্বপর্যায়ে তৈরি করতে হবে ব্যাপক জনসচেতনতা। জনতার সরকার ওপেন ডেটা এক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলেই প্রত্যাশা।